বিদেশ

আস্থা ভোটে পরাজিত হলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি

আস্থাভোটে পরাজিত হলেন নেপালে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারীর নির্দেশে আজ সোমবার এই আস্থাভোট নেওয়া হয়। যে আস্থাভোটে কে পি ওলির পক্ষে ভোট পড়ে ৯৩ এবং বিরোধীদের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৪। আস্থাভোটে প্রধানমন্ত্রীর পরাজয় দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত। এদিন ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি-ইউএমএল-এর কমপক্ষে ২৮ জন সদস্য দলের হুইপ অমান্য করে ভোটদানে বিরত ছিলেন। যাঁদের মধ্যে আছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানাল এবং মাধব চন্দ্র নেপাল। দলীয় হুইপ অমান্য করায় তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারির নির্দেশ সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছিল।  বিশেষ অধিবেশনে সংসদের নিম্নকক্ষে ৯৩ ভোট ওলির সমর্থনে পড়ে। ২৭৫ সদস্যের সভায় ওলির ১৩৬ জনের সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। কারণ, চার সদস্য সাসপেনশনে রয়েছেন। আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী ওলির বিরুদ্ধে ১২৪ সদস্য ভোট দেন। প্রচণ্ডর নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী সমর্থন প্রত্যাহার করায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছিল কেপি শর্মা ওলির সরকার। গত বছর নেপালে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছিল। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট ভাণ্ডারির কাছে সংসদের নিম্নকক্ষ ভেঙে দিয়ে ৩০ এপ্রিল ও ১০ মে নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের সুপারিশ করেছিলেন। শাসক দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির অন্দরে ক্ষমতার টানাপোড়েনের জেরেই এই সুপারিশ করেছিলেন ওলি। ২০১৫-র সেপ্টেম্বরে নতুন সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর এই প্রথম কোনও সরকার আস্থা ভোটের মুখোমুখি হল এবং সেই প্রস্তাব হারল। ওলি এরপর প্রেসিডেন্টের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেবেন এবং ভাণ্ডারি এরপর সংসদকে নতুন সরকার গঠনের সম্ভাবনা এক সপ্তাহের মধ্যে খতিয়ে দেখতে বলবেন।  এদিন আস্থা প্রস্তাব পেশ করে ওলি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও দেশ গঠনের লক্ষ্যে তাঁর সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এরপরও এই আস্থা প্রস্তাব পেশ করাটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর সরকার সংকীর্ণ ও পক্ষপাতমূলক মানসিকতার শিকার হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।