দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর শতাংশ হার ঊর্ধ্বমুখী। তাই অবিলম্বে লকডাউনের প্রয়োজন বলেই মত আইসিএমআর-এর প্রধানের। যে সমস্ত জেলাগুলিতে দৈনিক সংক্রমণ ১০% সেখনে গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে। সেই সমস্ত জেলা গুলিতে কড়া লকডাউনের প্রয়োজন। এরই মধ্যে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এক প্রকার মেনেই নিল, যে করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি আক্রান্ত অল্পবয়সিরাই। কেন এ রকম হচ্ছে, তাও স্পষ্ট করলেন আইসিএমআর–এর প্রধান বলরাম ভার্গব। তাঁর মতে এর দু’টি কারণ রয়েছে। ‘প্রথমত, অল্প বয়সিরা সাম্প্রতিক কালে বেশি মাত্রায় বাড়ি থেকে বেরোতে শুরু করেছিলেন। আর করোনাভাইরাসের বেশ কয়েকটি নতুন প্রজাতিও দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সেগুলিও কম বয়সিদের বেশি মাত্রায় সংক্রমিত করছে।’ কেন্দ্রের বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউও আছড়ে পড়বে এবং তা আরও ভয়ঙ্কর। তার পর থেকেই বহু বিশষেজ্ঞ বলছেন, এই তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি নাকি সংক্রামিত হবে শিশুরাই। ফলে ভার্গবকে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি এবার শিশুদের টিকাকরণ শুরু করা হবে? সেই সঙ্গে অল্পবয়সিদের আগেভাগে টিকা দেওয়া হবে? ডা. ভার্গব এই প্রসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, যে এখনই তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই। আসলে প্রথম আর দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তদের বয়সের ফারাক খুব বেশি নয়, মনে করেন তিনি। এও বলেন, ‘আগস্ট থেকেই আমরা নজর রাখছি। ৪৫ বছরের উপরে থাকা মানুষ এখনও এই রোগে বেশি মাত্রায় স্পর্শকাতর। এবং বাড়াবাড়ির আশঙ্কাও তাঁদের মধ্যেই বেশি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এই বয়সি রোগীর মৃত্যুর হার ৯.৬ থেকে ৯.৭ শতাংশ।’ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, ভারতে করোনার প্রথম ঢেউয়ে ৩০ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে ৩১ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছিলেন। দ্বিতীয় তরঙ্গে তার মাত্রা বেড়ে হয়েছে ৩২ শতাংশ।