কলকাতা

অবিলম্বে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হোক, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ অমিত মিত্রের

শেষ বার বৈঠক হয়েছিল গত বছরের অক্টোবরে। তার পর থেকে আর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হয়নি। এ বার এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে কড়া চিঠি লিখলেন বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। নিয়মানুযায়ী প্রতি তিন মাস অন্তর জিএসটি পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা। ২০২০ সালের অক্টোবরে শেষবার এই বৈঠক হয়েছিল অতিমারীর মধ্যেই। কিন্তু গত ছ’মাস এই বৈঠক করেনি কেন্দ্র। এমনকী ভারচুয়াল বৈঠকও নয়। এর ফলে লঙ্ঘিত হয়েছে সংবিধান। তাই অবিলম্বে এই বৈঠক ডাকা হোক। এমনই দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি চিঠিতে পরিষ্কার লিখেছেন, সংবিধানের ২৭৯এ অনুচ্ছেদে কী লেখা রয়েছে। মনে করিয়ে দিয়েছেন, সেখানে লেখা ছিল ‘‘প্রতিটি অর্থবর্ষে অন্তত ত্রৈমাসিক সময়কালে একবার করে বৈঠকে বসবে পরিষদ।’’ অমিতের দাবি, এমনটা না হলে তা ষুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর নীতিবিরুদ্ধ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে তাঁর চিঠিতে অমিত মনে করিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যগুলির প্রাপ্য জিএসটির ক্ষতিপূরণ খাতে ঘাটতি বর্তমান অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২১-২২ সালে ১.৫৬ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কার কথা সেই হিসেবে নেই। তা ধরলে ওই অঙ্ক আরও বাড়বে। মাত্র তিন দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে দাবি করেছিলেন, করোনার টিকা কিংবা এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ থেকে অক্সিজেন, এগুলির উপর থেকে জিএসটি (GST) প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। প্রধানমন্ত্রী সেই চিঠির কোনও উত্তর না দিলেও নির্মলা সীতারমণ এই দাবি খারিজ করে দিয়েছিলেন। এবার পালটা নির্মলাকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। 

প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের ২৭৯এ অনুচ্ছেদ মেনেই গঠিত হয়েছিল জিএসটি পরিষদ। সংবিধানের নিয়ম মেনে বছরে চারবার পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা। ত্রৈমাসিক অর্থাৎ তিন মাস অন্তর একবার। কিন্তু সেই বৈঠক ছ’মাসে একবারও না হওয়াটা একেবারেই কাম্য নয় বলে তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন অমিত। তাঁর মতে, ভবিষ্যতে যেন নিয়মিত বৈঠক ডাকা হয়। অন্যথায় কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে আস্থার জায়গাটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই অক্টোবরের মতো ভারচুয়াল হলেও বৈঠক যেন হয়।