কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান ৪ তৃণমূল কর্মী। সেই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দায়িত্ব পেয়েই শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তে নেমে পড়েছেন সিআইডির আধিকারিকরা। শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্ত করতে এবার শীতলকুচি যাচ্ছে সিআইডি-র বিশেষ তদন্তকারী দল। শীতলকুচি কাণ্ডের নতুন সূত্র খুঁজে পেতে মরিয়া সিআইডির আধিকারিকরা। সোমবারই শীতলকুচি যাচ্ছে সিআইডি আধিকারিকরা। বিশেষ তদন্তকারী সিআইডি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন ডিআইজি। সূত্রের খবর, সিআইডির আধিকারিকরা ভবানীভবনে জেরায় মাথাভাঙা থানার পুলিশ কর্তাদের থেকে যা তথ্য পেয়েছেন তা শীতলকুচিতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে যাচাই করে দেখা হবে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গেও কথা বলবেন সিআইডি আধিকারিকরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ডও করা হতে পারে। তদন্তের প্রয়োজনে সেদিনের গুলি চালানোর ঘটনা পুননির্মাণ করার সম্ভাবনা রয়েছে। সিআইডির তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের তলব করা হয়েছিল ভবানীভবনে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা আসেননি। করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সশরীরে হাজিরা দিতে চাননি। ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সিআইডির তরফে না করে দেওয়া হয়। ভবানীভবনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী ২৫ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে ফের তলব করা হতে পারে সিআইএসএফে-এর ৬ জওয়ানকে এবং ২ অফিসারকে। প্রসঙ্গত, শীতলকুচি কাণ্ডে তৃণমূল-বিজেপি নেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক বাগবিতণ্ডা হয়। ভোট প্রচারে বেরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কথায় কথায় হুশিয়ারি দিতেন জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি করে দেওয়া হবে। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা, সায়ন্তন বসুরাও বলেছিলেন শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রয়োজনে এরকম গুলি বারবার চলবে। যা সাধারণ মানুষ ভালো চোখে নেননি। আর ভোটে বিজেপির ভরাডুবি হয়, বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। তবে এত কিছুর মধ্যেও শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। হেরে গিয়েছেন কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়।