শক্তি বাড়িয়ে আগামীকাল রাতে ‘শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়’ এবং ২৫ মে সকালে ‘অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হবে এটি। তারপর বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকবে ‘যশ’। বর্তমানে এটির অবস্থান রয়েছে ১৬.১° উত্তর অক্ষাংশে ও ৯০.২° দ্রাঘিমাংশে। এই মুহূর্তে দিঘা থেকে ৬৫০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছে ‘যশ’। ওড়িশার পারাদীপ থেকে ৫৯০ কিমি পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে এটি। আগামী ২৬ মে বিকেলে উত্তর ওড়িশার পারাদীপ থেকে পশ্চিমবঙ্গের সাগরের মধ্যে কোনও একটি জায়গা দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে এটি। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার, এমনটাই জানিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন। আগামী ২৫ তারিখ, মঙ্গলবার থেকে মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলির উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৬ মে সকাল থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি সহ একাধিক জেলায় অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে। ২৭ মে মূলত উত্তরবঙ্গে এবং পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরই সঙ্গে ওইদিন বুদ্ধ পূর্ণিমা। সমুদ্রে ৬ মিটার অর্থাত্ ২০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। তবে রাজ্যে ইতিমধ্যেই সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।