কলকাতা

নির্বাচনী প্রচারে উসকানিমূলক মন্তব্যের জের, মিঠুনকে তলব করতে চলেছে কলকাতা পুলিশ

২০২১-এর নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশের পর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমি জলঢোঁড়াও নই, বেলেবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি।’ তখনই এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কিছু বুদ্ধিজীবিরা। তাদের দাবি ছিল ভোটের হিংসা ছড়ানোর জন্য এই উস্কানিমূলক মন্তব্য যথেষ্ট। যদিও তখন পাত্তা দেয়নি কমিশন। কিন্তু ভোট মিটতেই গত ৬ মে মানিকতলা থানায় মিঠুন চক্রবর্তীর নামে এফআইআর দায়ের করেন বাংলা সিটিজেন্স ফোরামের তরফে মৃত্যুঞ্জয় পাল। শুধু মিঠুন চক্রবর্তী নয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেন তারা। আর এই মামলার ভিত্তিতেই মিঠুন চক্রবর্তীকে শমন জানাতে পারে কলকাতা পুলিশ। এদিন সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই দায়ের হওয়া এফআইআর ও মিঠুন চক্রবর্তীর বক্তব্য উদ্বিগ্ন হয়ে তলব করে শিয়ালদহ-র এসিজেএম আদালত। আদালতের তরফে তদারকি করা হচ্ছে ওই দায়ের হওয়া মামলা নিয়ে তদন হচ্ছে কিনা কিংবা একপেশে কোনও ভূমিকা পুলিশ নিচ্ছে কিনা জানার জন্য। অপরদিকে কলকাতা পুলিশ দায়ের হওয়া এফআইআর-এর ভিত্তিতেই শমন জানাতে পারে সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীকে। মিঠুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে বাংলা সিটিজেন্স ফোরাম জানায়, অভিনেতা দাবি করলেও কোনও অংশেই তার প্রদান করা সংলাপ কোনও সিনেমার নয়। তার করা মন্তব্য উস্কানিমূলক ও হিংসা ও দাঙ্গার প্ররোচনা দিচ্ছে। তাই অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আর সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতেই শমনের পথে হাঁটতে পারে কলকাতা পুলিশ, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। যার ফলে গভীর বিপাকে পড়তে পারেন মহাগুরু। শুধু ব্রিগেডেই নয়, শীতলকুচি নিয়েও মন্তব্য করে বিপাকে পড়েন বিজেপি নেতা। তিনি ভোটের প্রচারের সময় বলেন, ‘ওখানে যা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। মৃতদের প্রণাম জানাই। কিন্তু কেন এই সব উসকানি দিয়ে চার জন মায়ের কোল খালি করে দেওয়া হল?’ চলতি সপ্তাহের শেষে কলকাতা পুলিশের তরফে শমন জানানো হতে পারে মিঠুনকে বলেই জানা গিয়েছে।