পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলর্তী এলাকায় তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় । ফলে পূর্ব মেদিনীপুরের ৫১টি বাঁধ ভেঙে যখন গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে, সেই সময় প্রবল বেগে ফুঁসতে শুরু করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক নদীও। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যখন একের পর এক নদী বাধ ভেঙে বিপর্যয় নেমে আসে, সেই সময় স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলাকারী বাহিনীও মানুষের পাশে দাঁড়ায় । ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে সেখানে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রথমে ২৮ মে হিঙ্গলগঞ্জ পরিদর্শনে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখানে প্রথম বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী । হিঙ্গলগঞ্জ থেকে বেরিয়ে ২৯ মে দিঘায় গিয়ে ফের রিভিউ বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । যশের প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার যে সমস্ত এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তাঁকে রিপোর্ট জমা দেবেন কর্মীরা । তবে কোন কোনও এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তার সম্পূর্ণ হিসেব পেতে ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। করোনা ভাইরাস তো ছিলই। তার ওপর বন্যা পরিস্থিতি। যার মানে, ফের ডায়েরিয়ার আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে দুর্গত এলাকায় যেন পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হয় তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ত্রাণশিবিরে গুলিতেও খাবারের গুণমান ও পানীয় জলের যাতে কোনও অভাব না হয় তা নজরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বললেন, ‘ত্রাণ শিবিরে কেউ যাতে অসুস্থ না হয় তা দেখতে হবে। মনিটরিংয়ের জন্য কমিটি করুক স্বাস্থ্যসচিব।’