কলকাতা

আগামীকাল নারদ মামলায় অভিযুক্তদের জামিনে স্থগিতাদেশ পুনর্বিবেচনার শুনানি

আজকের মতো শেষ হল নারদ মামলার শুনানি । আগামীকাল বেলা ১২ টায় ফের শুনানি । হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি । আজ আদালত সিবিআইয়ের রাজ্য থেকে নারদ মামলা স্থানান্তর করার যে আবেদন জানিয়েছিল সেই বিষয়টি শোনেন বিচারপতিরা । আগামীকাল চার অভিযুক্তের জামিনের উপর স্থগিতাদেশ পুনর্বিবেচনার বিষয়টি শোনা হবে । আজ মামলার শুনানিতে শুরুতেই সলিসিটর জেনেরাল তুষার দত্ত রাজ্যকে এই মামলায় যুক্ত করার কথা বলেন । যদিও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরাল কিশোর দত্ত রাজ্যের আলাদা করে এই মামলায় যুক্ত হওয়ার আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা সেই প্রশ্ন তোলেন । পরে বিশেষ বেঞ্চ জানায় সলিসিটর জেনেরাল রাজ্যকে যুক্ত হওয়ার যে আবেদন জানিয়েছেন সেটা মঞ্জুর করা হল । আজ শুনানি শুরু থেকেই সলিসিটর জেনেরাল আবার গ্রেফতারির পর সিবিআই দফতরের বাইরের ঘটনার উল্লেখ করেন । তিনি বলেন, “আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে । আদালত ওই ঘটনার পর যদি কিছু ব্যবস্থা না নেয় তাহলে এই ঘটনা আরও ঘটবে । আগামীকাল কোনও গ্যাংস্টারও যদি গ্রেফতার হয়, তাহলে মানুষ সিবিআই দফতরের সামনে ধর্নায় বসে যাবে ।” তখন বিচারপতি আই পি মুখোপাধ্যায় সলিসিটর জেনেরালকে প্রশ্ন করেন প্রভাবশালী তথ্য দিয়ে কি কারও জামিন আটকানো যায় ? নিম্ন আদালতের বিচারক প্রভাবিত হয়েছেন তার কোনও প্রমাণ না থাকলে আমরা কী করতে পারি ? সলিসিটর জেনেরাল এর প্রত্যুত্তরে বলেন ,”গ্রেফতারের পর যা ঘটেছে তা সমস্ত কিছু বিকৃত করা হয়েছে ।” তখন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, “সাধারণ মানুষ আবেগ তাড়িত হতে পারেন । কিন্তু আমাদের আইনের শাসন মেনে কাজ করতে হয় ।” অভিযুক্তদের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চারজন গৃহবন্দী থাকবেন । দিনের পর দিন এইভাবে মামলার শুনানি চলতে পারে না । ফিরহাদ হাকিম ঝড়ের দিন কোনও কাজ করতে পারেননি । জামিনের বিষয়টি এবার বিচার করা দরকার ।” দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল তখন বলেন, এই লকডাউনে তো আমরা প্রত্যেকেই গৃহবন্দী । পাশাপাশি সলিসিটর জেনেরাল তুষার মেহেতা বলেন, “বৃহত্তর বেঞ্চ কী শুধুমাত্র জামিনের বিষয়টি শোনার জন্যই তৈরি হয়েছে ?” তখন অভিযুক্তদের তরফে অভিষেক মনু সিংভি বলেন,” কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একটু আবেগি হয়ে পড়েছেন ঠিকই । কিন্তু জামিনের বিষয়টি উল্লেখ করছেন না সলিসিটর জেনেরাল । অন্যান্য বিষয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে । জামিনের বিষয়টি এবার বিচার করা দরকার ।” তখন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় অভিযুক্তদের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন ,”জামিনের বিষয়টি কি এতই সহজ । পুরো বিষয়টি তো আগে শুনতে হবে !” কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বলেন,” শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়ের নাম কেন চার্জশিটে নেই । তাঁরা অন্য রাজনৈতিক দলের সদস্য বলে ?” তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন রাজনীতি আদালতের বিচার বিষয়ে নয় ।