ক্ষতি কতখানি, তা বুঝে তবেই দেওয়া হবে যশের ত্রাণের টাকা। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে শুক্রবার দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই মমতা বললেন, গরিবদের বঞ্চিত করে যাতে সরকারি অর্থের অপব্যবহার না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। দিঘা ডেভলপমেন্ট অথরিটি দায়িত্ব পেলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান করা হল তাঁকে। দিঘার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নয়া এই দায়িত্ব তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব ও সমুদ্র দিঘায় রূদ্ররূপের ফলে কার্যত ভেসে গিয়েছে দিঘা। জায়গায় জায়গায় জল ঢুকে পড়ার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন দিঘা কার্যত ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। তাই আবারও দিঘার সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে যাতে তাড়াতাড়ি আবারও দিঘা সুন্দরী হয়ে উঠতে পারে তার পুরনো রূপে ফিরে আসতে পারে তাই মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিঘা ডেভলপমেন্ট অথরিটির দায়িত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।আজ দিঘার রিভিউ মিটিং থেকে তিনি জানান, ‘দিঘার যেহেতু বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, আর যেহেতু দিঘা ডেভলপমেন্ট অথরিটির এখন কোনো চেয়ারম্যান নেই, পরে নতুন করে করা হবে, তাই আপাতত দিঘা ডেভলপমেন্ট অথরিটির দায়িত্ব আমি মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিচ্ছি। কারণ, দিঘায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং যেহেতু এটা নতুন করে নিউ প্ল্যান অফ অ্যাকশন তৈরি করতে হবে, নিউ সেটাপ তৈরি করতে হবে। সেটা করতে গেলে গুরুত্বপূর্ণ লোক ছাড়া হবে না। সুতরাং আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিচ্ছি। তাঁর নেতৃত্বেই কাজটা এখন চলবে’ বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রসঙ্গত, যশের জেরে তছনছ হয়ে গিয়েছে দিঘা। তাঁর সাধের সমুদ্র সৈকতকে পুরনো মহিমায় ফিরিয়ে আনতে প্রচুর অর্থ লাগবে বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিঘার সৈকত উন্নয়নের জন্য ১০ হাজার কোটি এবং রাজ্যের সমস্ত ক্ষতি মিলিয়ে ২০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের দাবি জানিয়েছেন। যদিও সেই টাকা পাবেন কিনা তা নিয়ে আজ এই বৈঠকে সংশয়ও প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণ যাতে সঠিক ব্যক্তিদেরই দেওয়া হয় তারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।