বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে মোদি-শাহের বিজয়রথ আটকে দিয়েছেন মমতা। আবার মুখ্যসচিবকে নয়াদিল্লি টেনে নিয়ে যেতে পারেনি কেন্দ্র। তিনি অবসর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উপদেষ্টা হয়ে গিয়েছেন। যুদ্ধ জিতেই তাই মমতা বললেন,”বাংলা কারও কাছে নত হয় না।” তার অব্যবহিত পরেই টুইটারে শুরু হয়েছে ট্রেন্ডিং, ‘#BengaliPrimeMinister‘। স্বাধীনতার পর থেকে কেউ-ই বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হননি। ২০২৪ সালে তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সেই চেয়ারে দেখতে চাইছেন নেটিজেনরা। টুইটারে শুরু হয়ে গিয়েছে ট্রেন্ডিং, ‘বাঙালিপ্রধানমন্ত্রী’। কেউ লিখেছেন,’বাংলার মেয়েকে চায় ভারত।’ কেউ লিখেছেন,”এই স্বৈরচারি সরকারকে উপযুক্ত জবাব দিতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।” নেটদুনিয়ায় একাংশের টুইট ও পালটা টুইটে উঠে এসেছে উগ্র জাতীয়তাবাদের স্বরূপ। বাংলা এবং বাঙালি সত্ত্বা নিয়ে গর্বিত হওয়া আরেক জিনিস কিন্তু তাই বলে ‘গুটকাখোর’ বলে হিন্দিভাষীদের একাংশকে ‘বহিরাগত’ বলা সমর্থনযোগ্য নয়। বাংলায় মোদি-শাহের যেভাবে গোহারা হারিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে নিঃসন্দেহে তাঁর ওজন বেড়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী দেশের বিরোধী শিবিরের অন্যতম কাণ্ডারি হতে চলেছেন।