নারদ মামলা রাজ্য থেকে সরানোর দাবিতে সিবিআই যে আবেদন করেছে, তার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টে ৷ আজ শুনানির চতুর্থ দিন । সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা আজ তাঁর বক্তব্য শেষ করলেন । ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ সাংবিধানিক বেঞ্চে চলছে শুনানি । পরবর্তী শুনানি হবে আগামী সোমবার ৷ আজ মামলার শুনানির শুরুতেই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানালেন, তিনি আজ তাঁর বক্তব্য শেষ করবেন । তারপরই তিনি বলেন ,”বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ মামলার শুনানি নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সেটা ঠিক নয় ।” এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায় উল্লেখ করে দেখান যে, এর আগেও বহুবার এ রকম হয়েছে । তখন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা যে মেইল পাঠিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে সেখানে আইনের কোন চরিত্র (জনস্বার্থে, রিট ইত্যাদি) মেনে অভিযোগ করেছেন সেটা পরিষ্কার করে বলা উচিত ছিল । সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, “আমাদের চিঠিতে একাধিক অভিযোগ ছিল, যার মধ্যে জনস্বার্থ অন্যতম ৷” সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্যের মাঝে মাঝেই নিজের বক্তব্য পেশ করছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তুষার মেহেতাকে উদ্দেশ্য করে মজার ছলে বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, “আম্পায়ার যতই চেষ্টা করুন না কেন, ব্যাটসম্যানের কাছে থাকা ফিল্ডার মন্তব্য করবেই ।” তখন সলিসিটর জেনারেল মজার ছলেই বললেন, “হ্যাঁ স্লেজিং চলতে থাকে”। সলিসিটর জেনারেল এরপরে বলেন, “প্রধান বিচারপতি রোস্টার ঠিক করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন । কোন মামলা কোন বিচারপতির কাছে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে, তা প্রধান বিচারপতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন । সলিসিটর জেনারেল আরও বলেন, “হাইকোর্ট মনে করলে যেমন মামলা স্থানান্তরের নির্দেশ দিতে পারেন, তেমনি জামিনের আবেদনও স্থানান্তরের নির্দেশ দিতে পারেন । জামিনের আবেদন হাইকোর্টে স্থানান্তর করার ক্ষেত্রে কোনও আইনি বাধা নেই ।” তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন ,”আমরা চাই এখন আগে জামিনের আবেদনের শুনানি শুরু হোক ।” যদিও সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতর দাবি ছিল, আগে জামিনের শুনানি হলে মামলার বাকি অংশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে । এরপরই সলিসিটর জেনারেল তাঁর বক্তব্য শেষ হয়েছে বলে জানান ।রপর চার অভিযুক্তের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “সমস্ত দিক থেকেই এটা একটা অভূতপূর্ব মামলা । সব বিষয় ছেড়ে CBI শুধুমাত্র মানুষের ভিড় নিয়ে চিন্তিত । সিবিআই কখনওই গোটা ঘটনার বিবরণে যেতে চাইছে না । কারণ তাহলে তারা অসুবিধার মধ্যে পড়বে । কীভাবে বিচারক বাধাপ্রাপ্ত হলেন, কীভাবে বিচারব্যবস্থা বাধাপ্রাপ্ত হল, কীভাবে বিচারক পক্ষপাতদুষ্ট হলেন তার কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সিবিআই-এর কাছে নেই ।”