শনিবার হঠাৎ করেই মুষল ধারে বৃষ্টি শুরু হয় বিভিন্ন জেলায়। সেই সময় বাজ পড়ে প্রাণ গেল পূর্ব বর্ধমানের চারজনের। একজন জখম হয়েছেন। অন্যদিকে হুগলির পান্ডুয়া এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির, আহত ৩। জানা গিয়েছে, মৃতরা হলেন গুড়েঘর গ্রামের রঞ্জিতৎ গোয়ালা (৪০), কাঁশরা গ্রামের অরূপ বাগ (৪০), জ্যোৎশ্রীরাম গ্রামের শম্ভুচরণ দাস (৫২) ও মহিন্দর গ্রামের অধীর মালিক (৪৯)। জখম হয়েছেন রঞ্জিতের শ্যালক মনু আইরি। তাঁর বাড়ি কালনার তিলডাঙ্গা গ্রামে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রঞ্জিৎ তাঁর শ্যালকের সঙ্গে জমির সবজি পরিচর্যা করছিলেন। সেই সময় বজ্রপাত-সহ বৃষ্টি শুরু হয়। বাজ পড়ে দুইজনই জখম হন। তাঁদের জমালপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রঞ্জিতকে মৃত ঘোষণা করেন। মনু সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অরূপবাবু তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এদিন মাঠে তিল কাটতে গিয়েছিলেন। সেই সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তাঁর। অরূপবাবুর স্ত্রী কপালজোড়ে বেঁচে গিয়েছেন। শম্ভুচরণও এদিন গ্রামের মাঠে সবজি পরিচর্যা করছিলেন। সেই সময় বাজ পড়ে জখম হন তিনি। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। হুগলির পান্ডুয়া বাজ পড়ে মৃত্যু হল গোবিন্দ ঘোষ (৪০) নামে এক ব্যাক্তির। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে হুগলির বেশ কিছু জায়গায় শুরু হয় তুমুল ঝড়বৃষ্টি। সঙ্গে ঘনঘন বাজ পড়তে থাকে। সেই সময়ই গোবিন্দ ঘোষ সহ আরও তিনজন পান্ডুয়ার মান্দারণ এলাকার একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন। জানা যায়, তখনই বাজ পড়ে সেইখানে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় গোবিন্দ ঘোষের। আহত হন তাঁর তিন আত্মীয় রাজদীপ ঘোষ, গোপাল ঘোষ ও শিবশঙ্কর ঘোষ। গোবিন্দ ঘোষকে ইটাচুনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে এদিনের ঝড়ে চন্দননগর স্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মের একটি গাছ উপড়ে পড়ে যায় ওভারহেড তারে। তারপরেই অগ্নিকাণ্ড। তারে লেগেই দাউদাউ জ্বলতে থাকে গাছ। তার জেরে আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তত্পর হয়েছে প্রশাসন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল বাহিনী ও বিদ্যুত্ কর্মীরা কাজ করছেন।