শনিবার দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবতই এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর চোখে-মুখে ছিল আত্মবিশ্বাসের ঝলক। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুতেই তিনি জানিয়ে দেন, ‘দল আমাকে নতুন দায়িত্ব দিয়েছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্ষীয়ান নেতারা আগেই সেগুলো জানিয়েছেন। আমি নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর বর্ষীয়ান নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁদের আশীর্বাদ ও পরামর্শ নিয়েছি।’ এরপরই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন তাঁর ও দলের লক্ষ্য বড়, ভিন রাজ্য। অভিষেক এদিন জানিয়েছেন, ‘এক মাসের মধ্যে স্পষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করব। এ বার আমাদের পদ্ধতি ভিন্ন হবে। যে রাজ্যেই যাব জিততে যাব, কিছু ভোট পেতে নয়, কিছু বিধায়কের জন্য নয়। বাংলার মানুষ সব কিছুর জবাব দিয়েছেন। বাংলা কোনও কুত্সার কাছে মাথা নত করে নি। বাংলা বহিরাগতদের কাছে মাথা নত করেনি। বাংলার মানুষের রায়ে দেশে নতুন আশা জেগেছে। বাংলা গোটা দেশকে আশা দেখাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য বিজেপি-কে হারানো নয়, আমাদের লক্ষ্য দেশকে বাঁচানো, দেশের সংবিধানকে রক্ষা করা। সবাই বিশ্বাস করেন, মমতা গণতন্ত্রকে বাঁচাতে পারবেন।’ কার্যত ২০২৪-এর সলতে পাকানোর কাজ আজ থেকেই শুরু করে দিয়েছেন অভিষেক। অন্তত তাঁর সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তেমনটাই আন্দাজ পাওয়া যাচ্ছে। এদিন তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির দলে পরিবারতন্ত্র নীতি নিয়ে খোঁচা মেরেছেন। বাংলায় এসে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের ‘ভাইপো’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনীতিতে তুলে আনার জন্য খোঁচা দিয়েছেন মোদি-শাহ, তৃণমূলে পরিবারতন্ত্রের কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি তাঁর জবাবে জানিয়েছেন, ‘বিজেপির আইটি সেলের হেড অমিত মালব্যকে বলব, আইন নিয়ে আসুন যাতে এক পরিবার থেকে একজনের বেশি রাজনীতিতে আসতে না পারে। আইন আনুন। সবার আগে আমি ইস্তফা দেব।’ অভিষেক এও জানান, বারবার বাংলাকেই অপমান করা হয়। কিন্তু কেন বাংলাকে অপমান করা হয় সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘রাজ্যে যখন যে জায়গায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তিদের দেহ ভেসে আসছে সেখানে যায় না কেন্দ্রীয় দল। যে রাজ্য গঙ্গায় মরদেহ ভাসাচ্ছে সেখানে যায় না কেন্দ্রীয় দল, আর শুধুই বাংলাকে অপমান ও লাঞ্চিত করবে বলে কেন্দ্রের দল পাঠায়। আসলে হারটা হজম হচ্ছে না কিছুতেই।’