দলের কর্মীরাই তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই এখানে শেষ কথা
বিজেপির তরফে বারবার অভিযোগ করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। খোদ মোদি-শাহ বারবার বলেছেন মমতা দিদি নিজের ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানাবে বলে এই পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু আজকে মাত্র দু’দিন আগেই দলের বৃহত্ পদ পাওয়ার পর অভিষেক আকারে ইঙ্গিতে জানিয়ে দিলেন তিনি পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নন, অর্থাত্ বিজেপি নেতাদের তৈরি জল্পনার বুদবুদকে ফাটিয়ে দিয়ে সাংসদ জানিয়েছেন, ‘দল বড় দায়িত্ব দিয়েছে। যে দায়িত্ব পেয়েছি, তাতে আগামী দিনে দলের আরও বিস্তারের কাজেই মনোনিবেশ করব। দলকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যাব। লিখে রাখুন, আগামী কুড়ি বছর রাজ্য প্রশাসনের কোনও পদ আমি নেব না।’ তৃণমূলে ভবনে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনের পর সাংসদ অভিষেক ফের একবার শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি। তিনি শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘বিরোধী দলনেতা কুত্সা করছেন। ৪০ লক্ষ বাঙালি বিজেপিশাসিত রাজ্যে রয়েছেন বলে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। আমি বলব, কুত্সা করবেন না। বিরোধী দলনেতার ভূমিকা পালন করুন।’ এরই সঙ্গে অভিষেক জানিয়েছেন, তিনি দলের ও বয়সে বড় যারা তাঁদের আশীর্বাদ নিয়েছেন। মহাসচিব পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়, বর্ষীয়ান নেতা তথা মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির বাড়িতেই গতকাল গিয়েছিলেন অভিষেক। এবার লোকসভার দলীয় নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যাবেন বলেও জানিয়েছেন অভিষেক। তিনি এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘দল নতুন দায়িত্ব দিয়েছে। প্রবীণদের আর্শীবাদ নিয়ে কাজ করছি। গতকাল সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছি। আজ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করব।’ এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তৃণমূল কংগ্রেসে সেকেন্ড ম্যান বলে কোনও পদ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই এখানে শেষ কথা। দলের কর্মীরাই তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান। তাদের পরিশ্রমেই দল এত বড় জয় পেয়েছে।