সপ্তাহ শেষে বিভিন্ন রাজ্যের ২৫ সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মোদিও সিনিয়র বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। শনিবার ও রবিবার নয়া দিল্লিতে অমিত শাহের সরকারি বাসভবনে গুজরাত, উত্তর প্রদেশ-সহ বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের সাংসদরাও ছিলেন সেখানে। এই বৈঠকের পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। ২০২২-এর মধ্যে ৫ রাজ্যের নির্বাচন রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে উত্তর প্রদেশ এবং গুজরাতও। এই দুই রাজ্যেই বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। ২০২৪-এর দিকে লক্ষ্য করলে এই দুই রাজ্যে ক্ষমতায় টিকে থাকা বিজেপির পক্ষে খুব জরুরি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ইতিমধ্যেই মন্ত্রী ও দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বেশ কয়েকদফা বৈঠক সেরে ফেলেছেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আলাদা আলাদা ভাবে। গত দুবছরের সরকারি কাজের পর্যালোচনাও তিনি করেছেন বলে সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যেসব কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা হাজির ছিলেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, রাজনাথ সিং, নীতীন গদকরি, সদানন্দ গৌড়া। সোমবার প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেন রাজনাথ সিং এবং নীতীন গদকরির সঙ্গে। এইসব বৈঠক থেকেই মনে করা হচ্ছে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ খুব তাড়াতাড়িই হতে চলেছে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেছিলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং জিতেন্দ্র সিং-এর সঙ্গে। গত সপ্তাহে দিল্লিতে গিয়ে বৈঠক করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে মোদি মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে। সেই সম্প্রসারণে বিভিন্ন রাজ্যের মতো বাংলা থেকেও মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন একাধিক বিজেপি সাংসদ।