কলকাতা

৭ দিনের মধ্যে খালি করতে হবে গোলপার্কের ফ্ল্যাট, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নোটিস

বেআইনিভাবে গোলপার্কের ফ্ল্যাটের দখল নিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এমনই অভিযোগ তুলে উচ্ছেদ নোটিস পাঠালেন প্রাক্তন মেয়রের শ্যালক শুভাশিস দাস। দীর্ঘদিন ধরেই গোলপার্কের মোড়ের কাছে বহুতলের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, হঠাত্‍ই সেই ফ্ল্যাট দ্রুত খালি করে দেওয়ার নোটিস পাঠান তাঁর শ্যালক। অভিযোগ, ফ্ল্যাটটি বেআইনিভাবে দখল করে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে বাস করছেন শোভনবাবু। সাতদিনের মধ্যে ফ্ল্যাট খালি করতে বলা হয়েছে আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো ওই নোটিসে। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ভাইয়ের দাবি, টেনেন্সি অ্যাক্ট অনুযায়ী কোনও চুক্তি না থাকার কারণেই সেটি বেআইনিভাবে দখল করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এমনকী ফ্ল্যাট খালি না করলে মামলা রুজু করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে নোটিসে। উল্লেখ্য, ২০১৭-য় বেহালার বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন শোভন। এসে ওঠেন গোলপার্কের ১৩৫, মেঘনাদ সাহা সরণির একটি বহুতলের ফ্ল্যাটে। সে বছর জুলাই থেকে বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে রয়েছেন তিনি। স্ত্রী রত্নার সঙ্গে এখনও আইনি বিচ্ছেদ হয়নি শোভনের। কিন্তু গোলপার্কের যে ফ্ল্যাটে বৈশাখীর সঙ্গে ‘সংসার’ পেতেছেন শোভন, সেই ফ্ল্যাটের মালিক আসলে রত্নার দাদা দেবাশিস দাস। বেশ কয়েক বছর আগে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শোভন ওই ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করার পরেই রত্না দাবি করেছিলেন, ফ্ল্যাটটি আসলে শোভনের শ্যালকের নামে। ফলে শোভনের কোনও আইনি অধিকারই নেই ওই ফ্ল্যাটে থাকার। অর্থাত্‍, প্রকারান্তরে বলেছিলেন, শোভন ফ্ল্যাটটি ‘দখল’ করে রেখেছেন। একবার সন্তানদের নিয়ে সেই ফ্ল্যাটের নীচে অবস্থানেও বসেছিলেন রত্না। তবে সেই সময় বিষয়টি আর তার বেশি এগোয়নি। শোভন-বৈশাখী সম্পর্ক যত গড়িয়েছে, ততই তিক্ত হয়েছে শোভন-রত্না সম্পর্কও। তার সর্বশেষ উদাহরণ দেখা গিয়েছে শোভন নারদ-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর। অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর শোভন হাসপাতালের সুপারকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, রত্না বা তাঁর পুত্রকে যেন তাঁর আশেপাশে আসতে না-দেওয়া হয়। মনে করা হচ্ছে, এ বার রত্নার পরিবারও নতুন করে ‘প্রত্যাঘাত’ শুরু করেছে। নারদ-কাণ্ডে শোভন গ্রেফতার হন ১৭ তারিখ। ২২ তারিখ তিনি জামিন পেয়ে হাসপাতাল থেকে গোলপার্কের বাড়িতে ফেরেন।