তৃতীয় ঢেউ আসছে, তাই আগাম সতর্ক রাজ্য। এই ঢেউতে ধাক্কা খাবে বাচ্চারা। কিন্তু তাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নেই কোনও অস্ত্র, নেই কোনও টিকা। তাই মুখ্যমন্ত্রী এদিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ১২ বছর বয়সী বাচ্চাদের মায়েদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করোনার টিকা দেওয়া হবে। আগামীকাল থেকে রোজ ৪ লক্ষ করে ভ্যাকসিন দেওয়ার চিন্তাভাবান রয়েছে রাজ্যের, এদিন এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেহেতু বাচ্চারা মায়েদের কাছেই বেশিরভাগ সময়টা কাটায়, তাঁর সংস্পর্শেই থাকে তাই মায়েদের অগ্রাধিকার দিয়ে করোনার টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নে ভারত বায়োটেকের তৈরি ‘কোভ্যাক্সিন’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী কোভ্যাক্সিন নেওয়ার কথা বলেছিলেন। অনেক পড়ুয়া কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন, কিন্তু বিদেশে যেতে পারছেন না। কোভ্যাক্সিনকে যাতে সারা পৃথিবী গ্রাহ্য করে, সেই দিকটি দেখুক কেন্দ্র।’ আগেই জানা গিয়েছিল, ভারত বায়োটেকের দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি এই ভ্যাকসিন তৃতীয় ধাপ সম্পূর্ণ না করেই বাজারে ছাড়া হয়েছে। ‘হু’ অনুমোদন দেয়নি এই ভ্যাকসিনকে। তাই এই ভ্যাকসিন নিয়ে গেলেই ফেরত পাঠানো হচ্ছে কিংবা নতুন করে ভ্যাকসিন নিতে বলা হচ্ছে পড়ুয়াদের। এদিন নবান্নে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যসচিব জানান, ‘দ্বিতীয় ঢেউ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যজুড়ে ২৫০টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার নীতি বদলানোয় ভ্যাকসিনের জোগান কমেছিল। তৃতীয় ঢেউ আসার আগে শিশুদের চিকিত্সায় আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। জুলাইয়ের মধ্যে শিশুদের জন্য করোনা হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে শিশুদের জন্য ১৩০০ আইসিইউ হবে। অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ তবে রাজ্যের করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্বুদ্ধিতা ও আটদফার ভোটকেই দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে এই কারণেই এতটা বাড়বাড়ন্ত হয়েছে করোনার বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, উপনির্বাচন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা চাইব দ্রুত উপনির্বাচন করা হোক। প্রচারের জন্য সাতদিন সময় দিলেই হবে’। এদিন মুখ্যসচিব জানান, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে । অনেক জেলায় একশোর নীচে নেমেছে কেস। ২৫০টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে। তৃতীয় ঢেউ নিয়ে বৈঠক হয়েছে’।