আজ কলকাতা হাইকোর্টে শুরু নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি। নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় মামলাকারীকে হাজির থাকতে হয়। তাই বৃহস্পতিবারের শুনানিতে ভারচুয়ালি এজলাসে উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসেই শুরু হয়েছে শুনানি। মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করছেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রামথেকে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১৯০০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, গণনায় কারচুপি হয়েছে। তাই তা বাতিল করে পুনর্গণনার আবেদন জানিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রার্থী নিজেই। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলাটি ওঠে শুনানির জন্য। যদিও এই বিচারপতির সঙ্গে বিজেপি যোগের একাধিক প্রমাণ দাখিল করে তৃণমূলের তরফে মামলা অন্য বেঞ্চে স্থানান্তরের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি। জানানো হয়, ওই বিচারপতির সিঙ্গল বেঞ্চেই মামলার শুনানি হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার নিয়ম অনুযায়ী, মামলাকারীকে শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হয়। সেই নিয়ম মেনেই আজ উচ্চ আদালতের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে ভারচুয়ালি রয়েছেন আবেদনকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর দায়ের করা মামলার শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি চন্দ জানিয়েছিলেন, এক সপ্তাহ পর অর্থাত্ বৃহস্পতিবার এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে। সেদিন মামলাকারী অর্থাত্ মুখ্যমন্ত্রীকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে।
বিচারপতি চন্দের বেঞ্চে মামলাটি ওঠায় বাদী পক্ষের তরফ থেকে আপত্তি করা হয়। তাদের দাবি, আইনজীবী থাকাকালীন বিচারপতি চন্দের সঙ্গে বিজেপি-র যোগাযোগ ছিল। ফলে এই ধরনের রাজনৈতিক মামলায় বিচারপতির ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তাই মামলাটি অন্যত্র সরানো হোক। এ নিয়ে হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের কাছে আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সঞ্জয় বসু। যে হেতু হাই কোর্টের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতিই ‘রস্টার অব মাস্টার’, তাই তিনিই ঠিক করেন কোন মামলা কোন বেঞ্চে যাবে। সেই অনুযায়ী বুধবার রাত পর্যন্ত দেখা গেল নন্দীগ্রাম মামলার ক্ষেত্রে কোনও বেঞ্চ বদল হয়নি। অর্থাত্ আবেদন করা হলেও প্রধান বিচারপতি ওই বেঞ্চেই মামলাটি রেখেছেন। ফলে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চেই শুনানি হওয়ার কথা নন্দীগ্রাম আসনের ভোট গণনার মামলা।