দক্ষিণ ২৪ পরগনার অধিক সংক্রমিত এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হল। জানা গেছে, সোনারপুর-রাজপুর এলাকায় আগে সংক্রমণের রেকর্ড বেশি ছিল। আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছিল। তাই এই এলাকাগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। সংক্রমণের শৃ্ঙ্খল ভাঙতে আগামী সোমবার থেকে বুধবার সোনারপুর-রাজপুর পুর এলাকার সমস্ত বাজার বন্ধ রাখা হবে। উত্তর ২৪ পরগনার মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও একসময় দৈনিক সংক্রমণ বেড়েছিল। এখন সে হার কমেছে। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে দেখা গেছে, এই জেলায় করোনার কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনেরও মৃত্যু হয়নি। সংক্রমণের হার কমতে থাকায় আশার আলো দেখেছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে সংক্রমণের শৃ্ঙ্খল ভাঙতেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগে জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ছিল ১১টি। এখন তা বাড়িয়ে ৩৭টি করা হয়েছে। কোন কোন এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে? কুলপি, ফলতা, সাগর, ভাঙড়-১ ও ২, বিষ্ণুপুর ১ ও ২, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ডহারবার ১ নম্বর ব্লক, সোনারপুর-রাজপুর ও মহেশতলা পুরসভার ১৪,৩০,৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডকে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্রে খবর, এই এলাকাগুলির মধ্যে সোনারপুর-রাজপুরে সংক্রমণের হার বেশি ছিল। তাই বিশেষ নজর থাকবে এই এলাকার ওপরে। আগামী সোমবার থেকে বুধবার অবধি বাজার-দোকানও বন্ধ রাখা হবে। ভিড় কমলে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙবে বলেই আশা। করোনা সংক্রমণ কমছে রাজ্যে। কিন্তু কয়েকটি জেলায় সংক্রমণের হার চিন্তার কারণ। তাতে রাশ টেনার চেষ্টায় কন্টেনমেন্ট এলাকার পরিধি বাড়িয়ে ফের কড়া নিয়ন্ত্রণবিধি ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।