কলকাতা

ইভিএম থেকে তথ্য মোছার কাজ শুরু

ইভিএম থেকে তথ্য মোছার কাজ শুরু করল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, বিধানসভা নির্বাচনে ভোট সম্পর্কিত যে সমস্ত ‘ডাটা’ ওই মেশিনে ‘স্টোর’ হয়েছে, নিয়ম মোতাবেক ১ জুলাই থেকেই তা ‘ডিলিট’ করা হচ্ছে। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটের ফল প্রকাশের ৪৫ দিনের পর থেকে এই ইভিএমে তথ্য মোছার কাজ শুরু হয়। এবারও তার অন্যথা হচ্ছে না। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে এবার ভোট হয়েছে ২৯২টিতে। এর মধ্যে যে ক’টি কেন্দ্রের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়েছে, সেগুলি বাদে ভোটে ব্যবহৃত সব ইভিএমই ‘ক্লিয়ার’ করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত আটটি বিধানসভা আসনের ফলাফল নিয়ে মামলা হয়েছে। সেগুলি বাদেই কাজ চলছে। ইভিএমগুলির ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনও হচ্ছে। উল্লেখ্য, ব্যবহারীত ইভিএমগুলিই অন্য রাজ্যের নির্বাচনে ব্যবহার হবে অথবা এ রাজ্যের যে সব আসনে (এখনও পর্যন্ত সাতটি আসনে হওয়ার কথা) উপনির্বাচন হবে সেখানেও ব্যবহার করা হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনই স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি কমিশন। তাদের বক্তব্য, আগে সমস্ত তথ্য পরিষ্কার করার কাজ শেষ হোক। তারপর সিদ্ধান্ত হবে কবে, কোন নির্বাচনে এই ইভিএমগুলি ব্যবহার হবে। মূলত ভোটের ফল নিয়ে কারও যদি প্রশ্ন থাকে সে ক্ষেত্রে ফলপ্রকাশের ৪৫ দিনের মধ্যে আদালতে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করাই দস্তুর। সেইমতো এখনও অবধি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পাঁচ তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী পিটিশন জমা দিয়েছেন। বিজেপিরও তিনজন পরাজিত প্রার্থী এই পথেই হেঁটেছেন, তবে তা ৪৫ দিনের নির্ধারিত সীমা পার করে। বিজেপির বক্তব্য, করোনা পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়সীমার ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় আদালত দিতেও পারে। তেমনটা যদি হয় তা হলে আরও ইলেকশন পিটিশন জমা পড়ার সম্ভাবনাও থাকতেই পারে। এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, যে সমস্ত আসন নিয়ে মামলা হবে সেগুলি কোনও ভাবেই মোছা যাবে না। কারণ, মামলায় এই তথ্যগুলি সাক্ষ্য হিসাবে দেখা হবে।