স্বামীর মৃত্যুর সুবিচারের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এককালের দেহরক্ষীর স্ত্রী সুপর্ণা চক্রবর্তী। ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবরের ঘটনা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর। সেই সময় রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন শুভেন্দু। এই ঘটনার পর প্রায় কেটে গিয়েছে তিন বছর। আর সেই মামলায় এবার এফআইআর দায়ের করলেন শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। ওই দিন কীভাবে তাঁর স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন সেই তদন্তের দাবিতে এফআইআর দায়ের করলেন তিনি। শুক্রবার সকালে সুপর্ণার সেই অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি-সহ একটি টুইট করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সেখানে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম জুড়ে দিয়ে লেখেন, ‘আপনি বা আপনার কেন্দ্রীয় দল এই পরিবারটি বা এই মহিলাকে চেনেন? ওঁর স্বামী আপনাদের এক নেতার দেহরক্ষী ছিলেন। ওঁর চিঠিটা পড়ে
দেখুন। এখনেও রাখাল বেরার নাম রয়েছে। আপনার বিরোধী দলনেতা এই বিধবার প্রশ্নগুলি এড়িয়েই যাবেন।’ নিজের অভিযোগপত্রে একগুচ্ছ প্রশ্নে কার্যত শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষীর স্ত্রী সুপর্ণা। সেই সঙ্গে তাঁর স্বামীর ‘মৃত্যু-রহস্যে’র পিছনে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনের দাবিও করেছেন তিনি। সুপর্ণার এফআইআরের ভিত্তিতে এ বার খুনের মামলা রুজু করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সুপর্ণার অভিযোগ পেয়ে কাঁথি থানায় ৩০২ এবং ১২০বি ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। প্রসঙ্গত, সুপর্ণার স্বামী রাজ্য পুলিশের আর্মড ফোর্সের জওয়ান শুভব্রত চক্রবর্তী প্রায় ৬-৭ বছর শুভেন্দুর দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রায় আড়াই বছর আগে ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর সকাল ১১টা নাগাদ কাঁথির পুলিশ ব্যারাকে মাথায় গুলি লেগে গুরুতর জখম হন শুভব্রত ওরফে বাপি। দিনভর কাঁথি হাসপাতালে জখম অবস্থায় পড়েছিলেন তিনি। বহু টানাপড়েনের পর ১৩ অক্টোবর রাতে শুভব্রতকে কাঁথির হাসপাতাল থেকে একটি আইসিইউ অ্যাম্বুল্যান্স করে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর সেই হাসপাতালেই মারা যান শুভব্রত।