নতুন করে এফআইআর দায়ের হতেই শুভেন্দুর দেহরক্ষীর মৃত্যুর মামলায় তৎপর রাজ্য সরকার। খুনের ঘটনায় তদন্তভার নিল সিআইডি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুর ঘটনায় এবার তদন্ত চালাবে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। ২০১৮ সালে শুভব্রতর রহস্যজনক মৃত্যুর হয়। আড়াই বছর পর ফের স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় বিচার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন স্ত্রী সুপর্ণা চক্রবর্তী। তাঁদের দায়ের করা এফআইআর-এ নাম রয়েছে বিরোধী দলনেতার। তারপর থেকেই মামলা ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা। জানা গিয়েছে, সোমবারই শুভব্রতর মহিষাদলের বাড়িতে যাবেন সিআইডি আধিকারিকরা।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর কাঁথির পুলিশ ব্যারাকে কর্তব্যরত অবস্থায় মাথায় গুলি লাগে শুভব্রত
চক্রবর্তীর। গুরুতর জখম কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় শুভেন্দুর দেহরক্ষীকে। পরদিনই তাঁর মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুর সত্যতা উদঘাটনে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। সেই সময় একটি স্কুলে কর্মরত ছিলেন সুপর্ণা। একটি ফোনে জানতে পারেন তার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কাঁথি হাসপাতালে প্রথমে ভর্তি করানো হলেও, শুভব্রত শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে দ্রুত। তড়িঘড়ি কলকাতা স্থানান্তর করার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি। সুপর্ণার অভিযোগ, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই নানান রহস্য দানা বাঁধে। কীভাবে গুলি লেগেছিল, তা এখনও পরিষ্কার নয় চক্রবর্তী পরিবারের কাছে। তাঁর প্রশ্ন, একজন মন্ত্রীর বিশ্বস্ত দেহরক্ষী হয়েও কেন অ্যাম্বুলেন্স পেতে দেরি হল? শুক্রবার সকালে এই সমস্ত অভিযোগ
নিয়ে কাঁথি থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন সুপর্ণা।আজ দুপুরে শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নেমে তাঁর স্ত্রী তথা অভিযোগকারিণী সুপর্ণা চক্রবর্তীর বয়ান রেকর্ড করল সিআইডি। কিসের পরিপ্রেক্ষিতে শুভব্রতের মৃত্যুকে ষড়যন্ত্র ও খুন বলে অভিযোগ করছেন সুপর্ণা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সুপর্ণার পাশাপাশি শুভব্রতর দাদা দেবব্রত চক্রবর্তীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। সিআইডি-র এক মহিলা আধিকারিক-সহ ৩ সদস্যের একটি দল হাজির হয় সুপর্ণার মহিষাদলের বাড়িতে। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে সুপর্ণার বয়ান রেকর্ড করেন তদন্তকারীরা।