কলকাতা

নন্দীগ্রামের ইভিএম, ভিডিও রেকর্ডিং সহ নির্বাচনের যাবতীয় নথি সংরক্ষণের নির্দেশ হাইকোর্টের, মুখ্যমন্ত্রীকে আর দিতে হবে না হাজিরা

 নন্দীগ্রামে বিধানসভা ভোট গণনা মামলায় কারচুপি হয়েছে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলায় এদিন বিচারপতি শম্পা সরকার নির্দেশ দিয়েছেন, নির্বাচনী সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অন্তর্বর্তীকালীন এই নির্দেশ দিয়েছেন বুধবারের শুনানির পর। এদিন আদালত নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেছে, নন্দীগ্রামের ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় কিছু সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। আগামী ১২ অগস্ট ফের এই মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। বুধবার অনলাইন শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন বৈধ বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিন কলকাতা হাইকোর্ট শুভেন্দু অধিকারীকেও নোটিশ জারি করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে নন্দীগ্রামের ইভিএম, নথি ,ভিডিও রেকর্ডিং সহ নির্বাচনের যাবতীয় নথি সংরক্ষণ করতে হবে। নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসার আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককেও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের আর রিটার্নিং অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিন মামলাকারীর আইনজীবী এসএন মুখোপাধ্যায় আদালতে বলেন, এতদিন এই মামলা কী ভাবে গড়িয়েছে। তিনি এও জানান, গত ২৪ জুন কৌশিক চন্দের এজলাসে শুনানিতে ভার্চুয়াল হাজিরা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা শুনে বিচারপতি শম্পা সরকার বলেছেন, হাজিরার ব্যাপারটা তার মানে আগেই হয়ে গিয়েছে। তাহলে আর মামলাকারীকে হাজিরা দিতে হবে না। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলা দায়ের করার পর জট তৈরি হয়। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে এই রকম হাই ভোল্টেজ মামলা পাঠানো নিয়ে তীব্র আপত্তি জানায় তৃণমূল। সরাসরি বিচারপতি কৌশিক চন্দকে বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে তোপ দাগে শাসকদল। আইনজীবী থাকার সময়ে বিচারপতির সঙ্গে দিলীপ ঘোষের ছবি, বিজেপির কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, মহুয়া মৈত্র, কুণাল ঘোষরা। শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করে তারপরই মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি চন্দ। নন্দীগ্রাম মামলা যায় বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে। এদিন বিচারপতি সরকার বলেছেন, ‘মামলাকারীর আবেদনে কোনও ত্রুটি নেই । ১২ অগস্ট পর্যন্ত সমস্ত তথ্য, ভিডিও রেকর্ড, অন্যান্য নথি সংরক্ষণ করতে হবে। তা জমা দিতে হবে আদালতে। নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসারকে তা জানাবেন হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার।’ এখানে বলে রাখা ভাল, ভোটের ফল ঘোষণার দিনই মমতা বলেছিলেন, ওখানে কারচুপি হয়েছে। এও বলেছিলেন, রিটার্নিং অফিসার কাউকে একটা টেক্সট মেসেজে লিখেছিলেন, প্রাণের ভয়ে তাঁকে অনেক কিছু করতে হয়েছে। গণনা কেন্দ্রে দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং, সার্ভার অকেজো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল।