লক্ষ্য ২০২৪।হাতে সময় থাকতেই দিল্লির দখলের জন্য লড়াই শুরু করে দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই মতো ২১ জুলাই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়। বরং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ ছড়িয়ে দিতে চায় দিল্লি ও গুজরাতেও। তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা ও ওড়িশার মতো রাজ্যও। শুধু বার্তা দেওয়াই নয়। তৃণমূল সূত্রে খবর, ২৫ জুলাই দিল্লি যাবেন মমতা। আর এরই মধ্যে খবর, দিল্লি সফরে এবার মমতার সঙ্গে যাবেন মুকুল রায়ও। পশ্চিমবঙ্গের গন্ডি পেরিয়ে এবার ভিন রাজ্যেও ঘাসফুল ফোটাতে চায় মমতার দল। সম্প্রতি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভিন রাজ্যে জেতার জন্য ভোটে লড়া হবে। সেই মতো রণকৌশলও তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে ২১ তারিখ শহিদ দিবসে মমতার ভাষণ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে মরিয়া দলের শীর্ষ নেতূত্ব। এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে ২৫ তারিখ দিল্লি যাবেন মমতা। যদিও তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেকবার ভোটে জেতার পর, দিল্লি যান তিনি। এবার করোনার কারণে দিল্লি যাওয়াটা হয়নি। তাই কিছু বন্ধু ও সাংসদের সঙ্গে দেখা করতে ও প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যাবেন তিনি। তবে ভোটের আগে এর পেছনে রাজনৈতিক মহল দেখছেন অন্য কারণ।বলা ভালো এই যাত্রা নিছক একটি সফর ধরতে নারাজ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কেন? ২৪ এর লোকসভা ভোটের দামামা বাজার আগে থেকেই বিজেপি বিরোধী জোটকে এককাট্টা করতে মাঠে নেমে পড়েছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। কথা বলেছেন একাধিক বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। এবার তাঁর সফর সঙ্গী হবেন তাঁরই দলের পুরনো কর্মী মুকুল রায়। তৃণমূল নেত্রী চাইছেন একই বিমানে দিল্লি যাক মুকুল। যদিও মুকুল তেমনটা চাইছেন না বলে সূত্রের খবর। মুকুলের পরিকল্পনা হল, আগেই দিল্লি গিয়ে সমস্ত ব্যবস্থা পাকা করে রাখা। অর্থাৎ নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এমন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের তৈরি রাখতে। সূত্রের খবর, ২১ শে জুলাই রাতেই দু’দিনের জন্য দিল্লি সফরে যাচ্ছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সংযোজন মমতার সঙ্গে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুলেরও দিল্লি যাত্রা। সেই সফরে নতুন কী উঠে আসে, সেদিকে নজর থাকবে গেরুয়া শিবিরের বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।