সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে টিকিটও বিক্রি। মঙ্গলবার টিকিট বিক্রি বাড়লেও ট্রেনের সংখ্যা না বাড়ায় চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েন স্টাফ স্পেশ্যালের যাত্রীরা। এতদিন কেবল মাত্র মান্থলি কেটে যাতায়াত করতে পারতেন জরুরি পরিষেবায় যুক্তরা। করোনা পরিস্থিতিতে আমজনতার জন্য ট্রেন (Train) পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের স্টাফ স্পেশ্যালে চড়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফে। এবার ‘অন ডিমান্ড’ পদ্ধতিতে দৈনিক টিকিট বিক্রি শুরু করল রেল। শুধু যাত্রীদের জানাতে হবে কী জরুরি কাজের জন্য ট্রেনে যাতায়াত করতে চান। রবিবার শিয়ালদহ ডিভিশনের প্রতিটি স্টেশনে মৌখিক ও মোবাইল মেসেজে পাঠিয়ে বলা হয়েছে, ‘অন ডিমান্ডে’ যাত্রীদের টিকিট দেওয়ার জন্য। সোমবার প্রতিটি বুকিং অফিসে শিয়ালদহের এসিএম (সিপি) হরিনাথ গঙ্গোপাধ্যায় মেসেজ পাঠিয়ে বলেন, যাত্রীরা টিকিট না পেয়ে যদি অভিযোগ তোলেন তবে তার দায় বর্তাবে বুকিং কাউন্টারের কর্তব্যরত কর্মীর উপর। এরপরেই মঙ্গলবার শিয়ালদহের প্রতিটি স্টেশনে শুরু হয়েছে টিকিট বিক্রির কাজ। শিয়ালদহ ‘অন ডিমান্ডে’ টিকিট বিক্রি শুরু করলেও হাওড়া (Howrah) টিকিট বিক্রি শুরু করেনি। এখনও ওই ডিভিশনে মান্থলি কাটতে হচ্ছে। একই রেল জোনে এমন দ্বিচারিতা নিয়ে মঙ্গলবার বিভিন্ন স্টেশনে ঝামেলা হয়েছে।