দেশ

পেগাসাস কাণ্ড:‌ ‘‌সংবাদ মাধ্যেমর রিপোর্ট সত্যি হলে অভিযোগ গুরুতর‌’‌, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

পেগাসাস স্পাইওয়ারের মাধ্যমে দেশে ৩০০ রাজনীতিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, সরকারি কর্তাদের ওপর নজরদারি চলেছে। একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট তেমনটাই বলছে। সুপ্রিম কোর্ট আজ, বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এই রিপোর্ট যদি সত্যি হয়, তাহলে ‌অভিযোগ ‘‌গুরুতর’‌। পেগাসাস নজরদারি নিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। পিটিশন করেছে এডিটর্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া। সুপ্রিম কোর্টকে আর্জি জানানো হয়েছে, এই স্পাইওয়ার কেনা নিয়ে চুক্তি এবং কাদের ওপর নজরদারি চলেছে, সেই তথ্য কেন্দ্রের থেকে চাওয়া হোক। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বে দুই বিচারপতির বেঞ্চ এই মামলা শুনছে। অন্যজন বিচারপতি হলে সূর্য কান্ত। এদিন বেঞ্চ সব পিটিশনকারীকে কেন্দ্রের কাছে তাদের পিটিশনের একটি করে প্রতিলিপি পাঠাতে বলেছে। মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানি। সেদিন কেন্দ্রকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে বলে জানিয়েছে বেঞ্চ। এর আগেও এই একই মর্মে পেগাসাস নজরদারি নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন করেছেন সিপিএম সাংসদ জন ব্রিট্টাস এবং আইনজীবী এমএল শর্মা। 
এডিটর্স গিল্ডের তরফে এদিন সওয়াল করেন কপিল সিবাল। তিনি বলেন, ‘‌পেগাসাস এমন একটি প্রযুক্তি, যা অজান্তে আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে অনধিকার প্রবেশ করে।’ তাঁর প্রশ্ন, দেশের বিশিষ্টজন এবং সাংবাদিকদের ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে, এই তথ্য জানা সত্ত্বেও কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্র? পেগাসাস নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সংসদে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ইজরায়েলের তৈরি একটি সফটওয়্যার ভারতের ১২২ জনের ফোনে আড়ি পেতেছে। সিব্বল জানতে চান, যদি কেন্দ্র জেনেই থাকে যে এমন হয়েছে, তবে কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি কেন? তারা এতদিন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে কেন?
সিব্বলের মতে, এটা দেশের নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষার বিষয় ছিল। প্রযুক্তি প্রস্তুতকারী সংস্থা বলছে, সরকার ছাড়া এই প্রযুক্তি কাউকে বিক্রি হয় না। এক একজনের ফোনে আড়ি পাততে ৫০ হাজার ডলার খরচ হয় বলেও জানান তিনি।