শনিবারই ত্রিপুরায় গিয়ে বিজেপি কর্মীদের আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্তরা। রাতেও আক্রান্ত হয় তারা। এরপর আজ ভোররাতে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এই আবহে আজ বেলা ১১টা নাগাদ ত্রিপুরা পৌঁছালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার, খোয়াই থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরাও। বিক্ষোভের জমায়েত থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের উদ্দেশে উঠছে গো-ব্যাক স্লোগান। দেখানো হচ্ছে কালো পতাকা। সেখানেই গ্রেফতার করে আনা হয়েছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। থানা থেকে আদালতে তোলার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু ত্রিপুরার মানুষের একটা বড় অংশই এর আঁচও পাচ্ছেন না। কারণ সেখানকার বহু জায়গায় বন্ধ রয়েছে সংবাদ সম্প্রচার। খবরের চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ কেন? নিছকই যান্ত্রিক ত্রুটি, নাকি অন্য অভিসন্ধি, উঠছে প্রশ্ন। জানা গেছে, আগরতলা, ধর্মনগর, প্যাচারথল, কমলাসাগর, কমলপুর, ধলাই জেলার একটা বড় অংশে বন্ধ রয়েছে খবর সম্প্রচার। যে কারণে কী হচ্ছে রাজ্যে, জানতেই পারছেন না রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষ। তৃণমূলের দাবি, অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। বিজেপি ভয় পেয়েছে। জঙ্গলের রাজত্ব চলছে ত্রিপুরায়। যদিও ত্রিপুরার প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এমনটা হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু এই দাবি নস্যাত্ করেছে তৃণমূল শিবির। তাঁদের অভিযোগ, কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি নেই, বিপ্লব দেবের সরকারের আসল ছবি ত্রিপুরাবাসীর সামনে আসুক সেটা বিজেপি চায় না। তাই এমনটা করা হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সেখানে পৌঁছেই বলেন, ‘ত্রিপুরা দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এখানে শাসনের আইন চলছে, আইনের শাসন চলছে না। ব্রাত্য বসু বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে যে ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বলে আর কিছু নেই। বিরোধী কণ্ঠস্বর বলে আর কিছু নেই। এভাবে বিরোধীদের উপর, তৃণমূল কংগ্রেসের উপর যেভাবে জুলুমবাজি করা হচ্ছে, ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপি ভয় পাচ্ছে। আমরা গণ আন্দোলনের লোক। আমাদের এভাবে গাড়ি ভাঙচুর করে আটকানো যাবে না।’