দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৎকালীন কমিউনিস্টরা আওয়াজ তুলেছিলেন,’ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়।’ পরে ভুল স্বীকার করে তৎকালীন অবিভক্ত সিপিআই। যদিও বাম নেতারা যুক্তি দিয়েছিলেন,’অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকলে কীসের আজাদি!’ কালক্রমে ভারতের সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতেই আস্থা রাখে বাম নেতৃত্ব। পরে ১৯৬৪ সালে বিভক্ত হয় সিপিআই। জনপ্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রে অংশ নিলেও এত দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়নি সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে। সেই রীতি ভাঙল স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির আগে। সমস্ত পার্টি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নিল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। সাধারণত প্রজাতন্ত্র দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে মানববন্ধন-সহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করে সিপিএম। কিন্তু পার্টি অফিসে তেরঙা টাঙানো হয় না। প্রশ্নে উঠেছে, তাহলে কি এখনও সিপিএমের কাছে ‘ইয়ে আজাদি ঝুটা’? এবার দৃষ্টিভঙ্গিতে বদল আনল সীতারাম ইয়েচুরির দল। এবার থেকে দলের সমস্ত পার্টি অফিসে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে সিপিএম। উত্তোলিত হবে জাতীয় পতাকা।অনেকেই বলছেন, মুখে বিরোধিতা করলেও দেশজুড়ে জনমানসে জাতীয়তাবাদী আবেগকে একেবারে ফেলে দিতে পারছেন না সিপিএম নেতারা। সেই এবার আবেগেই সওয়ার হলেন তাঁরা।