জেলা

মুখ্যমন্ত্রীর বিদ্যুৎ সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় টুইটে কটাক্ষ শুভেন্দুর

সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনেই মোদি সরকার বিদ্যুত্‍ সংশোধনী বিল আনতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে এই বিলের পিছনে বিরোধীদের সমর্থন থাকলেও সংখ্যার জোরে তা লোকসভায় পাশ করিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, এই বিল পাশ হলে সংবিধানে বর্ণিত কেন্দ্র ও রাজ্যের অধিকারে যৌথ বিষয়ে থাকা বিদ্যুত্‍ নিয়ে রাজ্যের অধিকার খর্ব হবে। তাতে গরিব মানুষদের অসুবিধার সন্মুখীন হতে হবে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত গ্রাহককেও অসুবিধার সন্মুখীন হতে হবে। সেই সব বিষয় জানিয়ে এই বিল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। সেই ঘটনাকেই এবার কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর বিদ্যুত্‍ সংশোধনী বিল নিয়ে আপত্তি তোলার বিষয়টিতে কটাক্ষ হেনেছেন। এদিন শুভেন্দু এই বিষয়ে দুটি টুইট করেছেন। তার মধ্যে একটিতে তিনি লিখেছেন, ‘বিদ্যুত্‍ সংশোধনী বিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা আসলে কুমিরের কান্না। কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থা, যারা সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের বিল নেয়, তাঁদের রক্ষা করার কৌশল।’ ঘটনা হচ্ছে শুভেন্দু যে সংস্থাটির নাম নেননি সেটি হল সিইএসসি। কেন্দ্রের বিদ্যুত্‍ সংশোধনী বিল পাশ হলে সিইএসসি কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে যেমন একচেটিয়া বিদ্যুত্‍ পরিষেবা প্রদানের অধিকার হারাবে তেমনি তার বাইরের এলাকায় রাজ্য বিদ্যুত্‍ বন্টন পর্ষদ তাঁর বিদ্যুত বন্টনের একচেটিয়া অধিকারও হারাবে। অর্থাত্‍ এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ও সিইএসসি উভয়েরই ক্ষতি। শুভেন্দু অধিকারী সেই ক্ষতির বিষয়টিকেই রাজনৈতিক ভাবে তুলে ধরেছেন। ঘটনা হচ্ছে এই বিল পাশ হলে আরও অনেক বেসরকারি সংস্থাই বাংলায় বিদ্যুত্‍ পরিষেবা প্রদান করতে এগিয়ে আসবে। কিন্তু এদের ওপর না রাজ্য সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে, না সেই সব সংস্থার বিদ্যুতের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে। আর সেই জায়গাতেই গ্রাহকদের ধাক্কা খাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।