বন্যাবিধ্বস্ত ঘাটালের দুর্গতদের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সাধারণ মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দিলেন তিনি। প্রশাসনের আধিকারিকদের থেকে এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব। এদিন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, ঘর-বাড়ি, মাঠ-দোকান সবটাই ভেসে গিয়েছে। যাঁরা মানুষের পাশে রয়েছেন সকলকে ধন্যবাদ। আমি দেখে গিয়ে রিপোর্ট তৈরি করব। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি করছে না কেন্দ্র। পরিকল্পিত বন্যা হচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে বারবার বলা হচ্ছে, কেন্দ্র কিছুতেই অনুমোদন দিচ্ছে না। ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি হেলিকপ্টারে যখন আসছিলাম ৭ কিলোমিটার জায়গা ভিডিয়ো করি। দেখলাম বাড়ি ঘর মাঠ সবটাই ভেসে গিয়েছে। প্রশাসনকে এখানে আরও অনেক কাজ করতে হবে। এখানে ক্যাম্প বাড়াতে হবে। আমি দেখে গেলাম। রিপোর্ট তৈরি করব। প্রশাসনিক বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হবে।” এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, ঘাটালের সাংসদ দেবও। মমতার কথায়, ঘাটাল নিচু জায়গা। মাস্টার প্ল্যান ছাড়া কোনও ভাবেই ঘাটালকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বার বার মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বলা হচ্ছে। কেন্দ্র তা কিছুতেই অনুমোদন দিচ্ছে না। এদিকে জল ছেড়ে দেওয়ার ফলে পরিকল্পিত বন্যা হচ্ছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আমি সৌমেন মহাপাত্র, মানস ভুঁইয়্যাকে বলব কেন্দ্রীয় সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করুন। এখন সংসদ অধিবেশন চলছে। সঙ্গে শ্রীকান্ত মাহাতো, শিউলি সাহা, জুন মালিয়া, দেবও যাক। ওরা দাবি জানাক। আমি মনে করি লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরাও সঙ্গে যান। না হলে কিন্তু ঘাটালকে বাঁচানো যাবে না”।