অতি বৃষ্টির জের ও ডিভিসির ছাড়া জলে বানভাসি ঘাটাল। পশ্চিম মেদিনীপুরের এই অঞ্চলে প্রতিবছর বন্যা হলেও এবছরে আকারটা ভয়াবহ হয়েছে। এদিন ঝাড়গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে ঘাটালের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। বেলা ১২টা নাগাদ ঘাটালে পৌঁছন তিনি। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।মমতার সঙ্গে রয়েছেন ঘাটালের সাংসদ দেব। রয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকা খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন জলবন্দি ঘাটাল, দুর্গতদের হাতে ত্রাণ তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন বলেন, প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকা সবটাই ডুবে গিয়েছে, পুরোটাই ভিডিও করেছি, হেলিকপ্টারে আসার সময় তুলেছি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কেন্দ্রের প্রজেক্ট কিন্তু কিছুতেই আর্থিক বরাদ্দ দিচ্ছে না।এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেশি। তাই সুন্দরবন ও দিঘা নিয়ে একটা প্ল্যান কেন্দ্রের কাছে পাঠাচ্ছি, যাতে বাঁচানো যায়। তিনি এও বলেন, মমতার কথায়, ঘাটাল নিচু জায়গা। মাস্টার প্ল্যান ছাড়া কোনও ভাবেই ঘাটালকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বার বার মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বলা হচ্ছে। কেন্দ্র তা কিছুতেই অনুমোদন দিচ্ছে না। এদিকে জল ছেড়ে দেওয়ার ফলে পরিকল্পিত বন্যা হচ্ছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আমি সৌমেন মহাপাত্র, মানস ভুঁইয়্যাকে বলব কেন্দ্রীয় সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করুন। এখন সংসদ অধিবেশন চলছে। সঙ্গে শ্রীকান্ত মাহাতো, শিউলি সাহা, জুন মালিয়া, দেবও যাক। ওরা দাবি জানাক। আমি মনে করি লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরাও সঙ্গে যান। না হলে কিন্তু ঘাটালকে বাঁচানো যাবে না”। কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রীর কাছে প্রতিনিধি দল পাঠাবো। নিম্ন দামোদারে ২০০০ কোটি টাকার প্রজেক্ট আগামী বছরেই সম্পূর্ণ হবে, জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।