জেলা

শীতলকুচি থানার চত্বরেই উদ্ধার পুলিশ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ, নেপথ্যে কী?‌ শুরু উচ্চপর্যায়ের তদন্ত

 ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিরীহ ভোটারদের প্রাণ গিয়েছিল। ৬ মাস কাটতে না কাটতেই সেই শীতলকুচিতেই এবার উদ্ধার হল এক পুলিশ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। শীতলকুচি থানার চত্বরেই ওই দেহ ঝুলছিল। মৃত নৃপেণ বর্মণ হোমগার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন তিনি। মৃত ওই হোমগার্ডের নাম নৃপেন বর্মন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে শীতলকুচি থানার পেছনের বাগান থেকে উদ্ধার হয় ওই পুলিস কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়ে থানায় ছুটে আসেন মাথাভাঙা মহকুমার একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পি শেরপা। তিনি এসে গাছ থেকে নৃপেণ বর্মণের মৃতদেহ নামানোর ব্যবস্থা করেন। মৃতদেহ ভালেভাবে পরীক্ষা করে দেখেন তিনি। যদিও এই ঘটনার কারণ হিসেবে কোন কিছুই বলেননি ম্যাজিস্ট্রেট পি শেরপা। শুধু জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃত পুলিশ কর্মীর শ্যালক অজিত বর্মণ বলেন, ‘‌জামাইবাবু নৃপেন বর্মন বাড়িতে খুব শান্তভাবে বসবাস করতেন। বাড়িতে কোনওরকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে আজকে কেন তার এই সমস্যা হলো সেটা উচ্চপর্যায়ের তদন্ত না হলে বোঝা যাবে না।’‌ সূত্রের খবর, একুশের নির্বাচনের সময় এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল সাধারণ ভোটারের। যা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। বর্তমানে ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। এই বিষয়ে বেশকিছু তথ্য জানতে পেরেছিলেন নৃপেণ। যার জন্য তাঁর উপর চাপ তৈরি হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠে আসছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, চাপ থেকে মুক্তি পেতেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন ওই পুলিশকর্মী, পাশাপাশি পরিকল্পনা করে খুনের বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।