বউ আগেই ছেড়ে চলে গিয়েছিল। শরীরের খিদে মেটাতে তাই দোকানের সুদর্শন কর্মচারীর দিকেই তার নজর পড়েছিল। প্রথম প্রথম একটু রসের কথা, তারপর গায়ে হাত দেওয়া, জড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়াও ছিল। তাতে কিছুটা হলেও নরম হয়েছিলেন ওই যুবক। মালিকের হাতে ধরা দিতে কার্পণ্য বোধ করেননি। দোকান মালিক ও দোকানের কর্মচারী দুই পুরুষের ভালবাসার সম্পর্ক তাই দ্রুত পৌঁছে ছিল বিছানায়। কিন্তু তাল কাটলো মাস দুই আগে। মদ্যপ অবস্থায় নগ্ন যুবকের ছবি তোলার পাশাপাশি তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহুর্তের ভিডিও তুলেছিলেন দোকানের মালিক শুভজিত্ সরকার। তারপর সেই ছবি আর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শুরু হয়েছিল ওই যুবককে ব্ল্যাকমেইল করার কাজ। দিনের পর দিন বন্ধুদের ডেকে এনে ওই যুবককে চলতো গণধর্ষণ। শেষে শনিবার নিজেই বাঁশদ্রোনী থানায় গিয়ে সব কিছু জানাতে বাধ্য হলেন ওই নির্যাতিত যুবক। দক্ষিন কলকাতার এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল শুধু মহিলারা নয়, পুরুষও ধর্ষণ বা গণধর্ষণের শিকার হতে পারে। দেশের সমাজে কেউই নিরাপদ নয়। জানা গিয়েছে, বাঁশদ্রোনীতে শুভজিতের রঙের দোকান রয়েছে। সেখানেই ওই যুবক কাজ করতো। তাঁর বয়স ২২ বছর। ইতিমধ্যেই বিবাহিত। তবে স্ত্রী থাকে বাপের বাড়িতে। আবার শুভজিতের স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে আগেই চলে গিয়েছে। তাই দোকানের সুদর্শন কর্মচারীটিকে কাছে টানতে বেশি সময় নেননি শুভজিত। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে ওই যুবককে ভোগ করার মানসিকতাই তাকে ঠেলে দিল বিপর্যয়ের মুখে। পুলিশ এদিনই তাকে গ্রেফতার করেছে। সেই সঙ্গে তার বন্ধুদের সন্ধানও শুরু করেছে। রবিবার শুভজিতকে আদালতে তোলা হবে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১ (অপরাধমূলক আচরণ), ৩২৩ (শারীরিক নিগ্রহ), ৩৭৭ (জোরপূর্বক সঙ্গম), ৫০৬ (ভয় দেখানো) এবং ৩৪ (একসঙ্গে অনেকে মিলে অপরাধ ঘটানো) নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই নির্যাতত যুবকের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে গণধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। তবে পুলিশের তরফেও ফের এক বার তাঁর পরীক্ষা করানো হবে। তার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে পুলিশ।