কলকাতা

‘দিলীপ দা আজ তৃণমূলের খেলা হবে দিবসের সমর্থনে খেলেছেন’, কটাক্ষ ফিরহাদ হাকিমের

প্রাতঃভ্রমণে এসে ফুটবলে মজলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। এদিন খেলা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ১৫ অগাস্ট ছোট বেলা থেকে ফুটবল খেলে আসছি। খোলা মাঠে কাদার ওপরে কখনও বাতাবি লেবু কখনও প্লাস্টিক দিয়ে বল বেঁধে খেলতাম।দিলীপ ঘোষের আফসোস, ”এখন তো খেলা ধুলো উঠে গেছে। কিন্তু এরা খেলাটাকে রাজনীতি ও হিংসার খেলায় নিয়ে গেছে। সিন্ডিকেট ও কাটমানির খেলায় নিয়ে গেছে। আমরা চাই ফুটবল ফিরে আসুক। ফুটবলের খেলা হোক। আমাদের নতুন ছেলে- পুলে যুবক -যুবতীরা খেলাধুলা করে শরীর স্বাস্থ্য ঠিক করুক।” তিনি আরও বলেন, ”বাংলা দেশের সম্মান বৃদ্ধি করুক, সেই জন্য আজ আমরা ফুটবল খেলছি, গতকাল ক্রিকেট খেলেছি। কিছু না কিছু রোজ করি আমরা। আমাদের সঙ্গে যুবকরা আসেন তারাও খুব  উৎসাহের সঙ্গে অংশগ্রহণ করছেন। ওখানে কুশল বিনিময় হলেও মত বিনিময়ের জায়গা নেই।” দিলীপের এই ফুটবল খেলা প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘দিলীপ দা আজকে তৃণমূলের খেলা হবে দিবসে সমর্থন করে খেলেছেন। এটা খুব ভালো কথা। সকালবেলা ফুটবল খেলে উদ্বোধন করে দিয়েছেন।’ ফিরহাদ হাকিম এও বলেন, “বিজেপি ভোটের সময় কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের মতো বড়বড় প্লেয়ারদের খেলতে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গোল খেয়ে ফিরে গিয়েছে। অর্থাৎ বিজেপি গোল করে না গোল খায়।” মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ তৃণমূলকেই সমর্থন করছেন, এদিন ব্যঙ্গের ভঙ্গিতে তা-ও বলেন ফিরহাদ। পাশাপাশি দেশজুড়ে খেলা হবে দিবস পালন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরাতেও খেলা হবে দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলার মতো ত্রিপুরাতে তৃণমূল সরকার জিতবে।” এদিন ত্রিপুরা ইস্যুতেও মুখ খুলেছেন ফিরহাদ। বলেন, “রবিবার ত্রিপুরায় দোলা সেন এবং তার আপ্তসহায়ক বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হাতে মার খেয়েছেন। জাকিরের উপর ইট বৃষ্টি করা হয়েছে। যা একেবারেই অনুচিত। গণতান্ত্রিক উপায়ে সবার কথা বলার অধিকার রয়েছে। সবাই সবার মতো করে কথা বলবে। কিন্তু এইরকম ভাবে আঘাত হানা যায় না।” এছাড়াও এদিন রাজ্যের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ। বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের জন্য অনেক কাজই করছেন। দুয়ারে রেশন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-সহ বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হচ্ছে। ফ্রিতে রেশন পাচ্ছেন। যারা কাজ হারিয়েছিলেন তারা রাজ্যে ফিরে এসে পুনরায় কাজ পাচ্ছেন এবং ফ্রিতে রেশন পাচ্ছেন। পড়ুয়ারা পড়াশোনার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পাচ্ছেন। গ্যারান্টার হিসেবে থাকছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে সমস্ত রকম সুবিধা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।”