প্রতি মাসে সাধারণ ঘরের মহিলারা পাবেন ৫০০ টাকা করে। তপশিলী জাতি ও উপজাতির মহিলারা পাবেন ১০০০ টাকা করে। খালি বয়সটা হতে হবে ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিষেবার সুযোগ নিতে রাজ্যের মহিলারা আগে থেকেই উত্সাহ দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু সোমবার সেই অতি উত্সাহই বিপদ ডেকে আনল বীরভূমে। রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বিলিকে কেন্দ্র করে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হন খুব কম করে ৭ জন মহিলা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বীরভূম জেলার রামপুরহাট মহকুমার মুরারইতে। তবে ওই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কারও প্রাণহানীর কোনও খবর আসেনি। তবে লাইনে দাঁড়ানো মহিলাদের অনেকেরই মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ খোয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মুরারই-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে গতকাল রাত থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য ফর্ম জমা দিতে লাইন পড়ে গিয়েছিল। যদিও এদিন ফর্ম বিলি হওয়ার কথা ছিল। ফর্ম জমা দেওয়ার কথা এদিন নয়। রাজ্য সরকারের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ‘দুয়ারে সরকার’ থেকেই শুধুমাত্র লক্ষীর ভাণ্ডারের ফর্ম বিলি করা হবে। বাইরের কেনা ফর্ম জমা নেওয়া হবে না। ফর্ম নিয়ে যাতে কোনওরকমের কালোবাজারি না হয় তার জন্য প্রতিটি ফর্মে আলাদা করে নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে যা শুধুমাত্র ক্যাম্পের আধিকারিকেরা বসাচ্ছেন। তারপরেই গতকাল রাত থেকে ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য লাইন পড়ে গিয়েছিল মুরারুই-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে।
এদিন সকালে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি শুরু হতেই ফর্ম বিলি ও তা জমা দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের মহিলাদের মধ্যে বিবাদ লাগে। বাইরের ফর্ম যে গ্রহণীয় নয় সেটা ক্যাম্পের আধিকারিকেরা বার বার বললেও তাতে কর্ণপাত করেননি একশ্রেনীর মহিলারা। তাঁদের দাবি ছিল, তাঁরা রাত থেকে লাইন দিয়েছেন তাই তাঁদের ফর্মই আগে জমা নিতে হবে। আধিকারিকেরা তা অস্বীকার করলে শুরু হয়ে ঠেলাঠেলি। তাতেই পড়ে হুড়োহুড়ি। সেই সময়েই সামনের দিকে থাকা ১০-১২জন মহিলা পড়ে যান ও তাদের মাড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে যায় জন ৩০-৪০ মহিলা। দুর্ঘটনার পরে পরেই এদিনের মতো সেখানে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কার্যত ক্যাম্পটি তখন মানুষের ভিড়ে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।