দেশ

ত্রিপুরায় সায়নীর হোটেল রুমে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, পাচ্ছেন না খাবার, খর্ব বাক স্বাধীনতাও

গণতন্ত্রের প্রশ্নে গর্জে উঠলেন তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। বিজেপি শাসিত রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন করে একটা সম্ভাবনা তৈরি হতেই ত্রিপুরায় শুরু হয়েছে “তালিবানি বিপ্লব”! ”প্রতিহিংসার রাজনীতি” যদিও প্রথম থেকেই অব্যাহত। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গিয়ে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় যে হোটেলে উঠেছিলেন তৃণমূল যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, সেখানেও বিজেপির নজরদারি। বিপ্লব দেব প্রশাসন কার্যত তালিবানদের মতো আচরণ করছে বলে অভিযোগ। যেখানে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। বিরোধীদের উপর আক্রমণ সন্ত্রাস সবকিছুই চলছে দিনের আলোতে। সমস্যায় পড়েছেন সেই হোটেল কর্তৃপক্ষ। এ রাজ্যের শাসকদলের দাবি, জিএসটি না দেওয়ার অভিযোগে হোটেলে হানা দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এমনকী, আগামীদিনে দলের নেতা-নেত্রীদের থাকতে না দেওয়ার জন্য হোটেল মালিককে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে! এই মুহূর্তে ত্রিপুরা সফরে রয়েছেন তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। যে হোটেলে তিনি উঠেছেন, সেখানেও বিপ্লব দেব প্রশাসন অমানবিক আচরণ করছে বলে তার অভিযোগ। নারী সুরক্ষা পর্যন্ত নেই বিপ্লব দেবের রাজ্যে। এর আগে তৃণমূলের মহিলা সাংসদ ও নেত্রীরা আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা। এবার রাতে সায়নী ঘোষের হোটেলের রুমে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হল। কার্যত বেশ কয়েক ঘণ্টা হোটেলের রুমে অন্ধকারের মধ্যেই কাটাতে হল সায়নীকে। সায়নীর দাবি, ৪-৫ জন এক সঙ্গে খেতে বসতে গেলেও আটকে দিচ্ছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। খাবারের অর্ডার দেওয়া হলে জোর করে পুরোটাই বাতিল করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন সায়নী। উদাহরণ স্বরূপ তিনি জানান, “মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়, সাদা বাংলায় বললে সকলেই বুঝবেন, কোনও নামি রেস্তোরাঁতে এই ধরনের ঘটনা খুব একটা স্বাভাবিক না! আজ রেস্তোরাঁতে খেতে গিয়ে চা ও কফি অর্ডার করা হয়েছিল, সঙ্গে কয়েকজন মিলে আলোচনা চলছিল, সেখানে বিজেপি থেকে চর মোতায়ন করা হয়েছিল, এবং তারা এসে এ কথাও বলে যে আমরা নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা করতে পারবো না!” সায়নীর কথায়, “ভারতীয় সংবিধানে যে বাক স্বাধীনতা নামক বিষয়ের আলাদা করে উল্লেখ রয়েছে বিজেপির হয়তো সেটা কখনই বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি। ভারতবর্ষের যে কোনও জায়গা থেকে যে কোনও মানুষ স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক চর্চা করতে পারেন, গণতন্ত্রের গলা টিপে বিজেপি যে স্বৈরাচার ত্রিপুরাতে চালাচ্ছে সেটা তাদের এই লজ্জাজনক ব্যবহার মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে নিশ্চিত! আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষকে কোনো রকম দোষ দিচ্ছি না, বিজেপির তরফ থেকে তাদের অফিসিয়াল মেইল করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূল যাতে কোনওরকম সংগঠন ত্রিপুরায় গড়ে তুলতে না পারে।”