সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সহ ছয় তৃণমূল নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল ত্রিপুরা পুলিশ। খোয়াই থানার পুলিশ ছয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল পুলিশের কাজে বাধাদান এবং অভব্য আচরণের। এর বিরুদ্ধেই ত্রিপুরা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক। সেই মামলায় সাড়া দিল ত্রিপুরা হাইকোর্ট। স্বস্তি পেল তৃণমূল। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এই মামলায় হস্তক্ষেপ করলেন। তিনি ত্রিপুরা পুলিশকে খোয়াই থানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়দের অবস্থান বিক্ষোভের ভিডিও ফুটেজ জমা দিতে বললেন। গত ৭ অগষ্ট ত্রিপুরায় এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতারা। ওই কর্মসূচিতেই আক্রান্ত হয়েছিলেন যুব তৃণমূলের নেতৃত্ব। দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তদের উপর হামলা চলে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে যায় সুদীপ রাহার, কানে আঘাত পান জয়া দত্ত। এই ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনীতি। অভিযোগ পুলিশ দুষ্কৃতীদের ধরার বদলে তৃণমূলের আক্রান্ত দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত-সহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে খোয়াই থানার পুলিশ। এরপর সোজা আগরতলা পৌঁছে তৃণমূল আক্রান্ত তৃণমূল নেতাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে খোয়াই থানায় অবস্থান শুরু করে দেন অভিষেক সহ কুণাল ঘোষ, দোলা সেনরা। তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়। পরদিন সকলেই জামিন পান আদালত থেকে। কিন্তু এরপরও ৬ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে 186/34 ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করে খোয়াই থানার পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ ছিল তৃণমূল নেতারা পুলিশের অভব্য় আচরণ করেছেন এবং পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন। এই এফআইআরের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা হাইকোর্টে মামলা করে তৃণমূল। মামলাটি গ্রহণ করে আদালত। প্রধান বিচারপতি নিজেই মামলাটি শুনছেন। তিনি তৃণমূল যুব নেতাদের উপর হামলা এবং খোয়াই থানায় অভিষেকদের সঙ্গে পুলিশের বচসার ভিডিও ফুটেজ তলব করেছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২ সেপ্টেম্বর। এর আগে কোনও রিপোর্ট দিতে পারবে না পুলিশ, এমনটাই জানিয়েছেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। ফলে আপাতত স্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব।