যশ’- বিধ্বস্ত মেদিনীপুরে ত্রিপল পাঠায় রাজ্য সরকার। কাঁথি পুরসভা থেকে সেই ত্রিপল চুরির অভিযোগ ওঠে শুভেন্দুর ভায় সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে সেই মামলায় নাম জড়ায় শুভেন্দু অধিকারীর। আর তারপরেই রাজ্য পুলিশের প্রতি আস্থা না রেখে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি জানান, এই মামলায় তাঁদের অব্যহিত দেওয়া হোক আর নয় তো সিবিআইকে তদন্তের দায়ভার দেওয়া হোক। কারণ রাজ্য পুলিশ উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত ভাবে এই মামলা করেছে। তার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। ত্রিপল চুরি, সেচ দফতরে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি-সহ তাঁর ব্যক্তিগত রক্ষীর আত্মহত্যার মামলার মতো একাধিক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আদালতে যান বিরোধী দলনেতা। অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে মামলাও করেন। তাঁদের আইনজীবী বিষয়টিকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ তোলেন। আইনজীবী জানান, তাঁদের বিরুদ্ধে যে এফআইআর করা হয়েছে তাতেও সরাসরি চুরি করেছেন বলে উল্লেখ নেই। তাই এই মামলা থেকে শুভেন্দু-সৌম্যেন্দুকে অব্যাহতি দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে সেই মামলারই শেষ দিনের শুনানি ছিল সোমবার। কিন্তু দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি।