রাজ্যে আপাতত করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাই বাকি থাকা সাতটি কেন্দ্রে দ্রুত উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সাত কেন্দ্রের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী থাকতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের জিতে আসতেই হবে ভোটের ছয় মাসের মধ্যে। তাই ভবানীপুর আসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন শোভনদেব চট্ট্যোপাধ্যায়। আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচন না করাতে পারলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আর থাকতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই দ্রুত উপনির্বাচনের জন্য বারবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ফের নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘মানুষকে তাঁদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিধানসভায় জনপ্রতিনিধিদেরও নির্বাচিত হওয়ার অধিকার রয়েছে। আর সেই কারণেই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা উচিত কমিশনের। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলে দ্রুত উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করুক কমিশন।’ এই নিয়ে একাধিকবার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এর আগে সুব্রত বক্সি ও পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি টিম দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে যায়। তার আগে তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি টিম যায় দিল্লিতে। কমিশনের তরফেও তত্পরতা দেখানো হয়, দ্রুত ইভিএম ও ভিভিপ্যাট গোনা ও ডাটা মুছে ফেলার কাজ হলেও দিন ঘোষণা করা হচ্ছে না। এর আগে রাজ্যের বিরোধী দলের এই উপনির্বাচন নিয়ে মতামত চায় কমিশন। যদিও এরপর ফের শীতঘুমে চলে গিয়েছে কমিশন। আর সেই কারণেই ফের আজ নবান্ন থেকে ভোটের দিন ঘোষণা করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহেই সাত কেন্দ্র অর্থাত্ মুর্শিদাবাদের বাকি থাকা সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর এবং দিনহাটা, গোসাবা, ভবানীপুর, খড়দা ও শান্তিপুরে করোনা নেই বলেই রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেই কোনও সদুত্তর দেয়নি নির্বাচন কমিশন। এদিন উপনির্বাচন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘ইতিমধ্যেই চার মাস হয়ে গিয়েছে। কমিশনের তরফে থেকে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের থেকে মতামতা জানতে চাওয়া হয়েছিল। আশা করব ৩০ অগাস্টের মধ্যে তা সকলেই জানিয়ে দেবেন। যে যে অঞ্চলে নির্বাচন হবে, সেখানে কোভিড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাছাড়া এই নির্বাচন তো মাত্র এক দিনের, লম্বা সময় ধরে তো হবে না।’