কোভিড সংক্রমণ দেশের কিছু রাজ্যে কমছে, আবার কিছু রাজ্যে এখনও সংক্রমণের হার বেশি। অক্টোবরেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে সতর্কতাও জারি হয়েছে। কেন্দ্রের অধীনস্থ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের (এনআইডিএম) তত্ত্বাবধানে তৈরি টিম তাদের রিপোর্টে বলেছে, এ বছর অক্টোবরেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ মারাত্মক চেহারা নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে। শিশুরাও রেহাই পাবে না। তার জন্য এখন থেকে চিকিত্সা পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আর্জিও জানিয়েছে এআইডিএম। তাই এমন পরিস্থিতিতে দেশে কোভিড বিধিনিষেধ আরও এক মাস বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা জানিয়েছেন, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অবধি কড়া কোভিড বিধি মানতে হবে রাজ্যগুলিকে। কোভিড পজিটিভিটি রেট তথা সংক্রমণের হার কিছু রাজ্যে কমলেও নিয়মের রাশ আলগা করা যাবে না। নির্দেশিকায় কী কী বলা হয়েছে – দেশের কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড অ্যাকটিভ রোগী বা ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমছে। আর সংক্রমণ কমার কারণেই সেইসব রাজ্যে কোভিড বিধির রাশও আলগা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রসচিবের পরামর্শ, সংক্রমণের হার বা কোভিড অ্যাকটিভ কেসের হার কমলেও কোভিড বিধির সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে। এলাকাভিত্তিক কনটেইনমেন্ট জ়োন তৈরি করে অধিক সংক্রামিত এলাকাগুলিতে কড়া নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। কোভিড রুখতে ‘পাঁচ স্ট্র্যাটেজি’ মেনে চলতে হবে-কোভিড নিয়ে সচেতনতা, করোনা পরীক্ষা (টেস্ট), কনট্যাক্ট ট্রেসিং (ট্র্যাক), চিকিত্সা (ট্রিটমেন্ট) ও টিকাকরণ। ভিড ও জমায়েতে লাগাম টানতে হবে সবচেয়ে আগে, তাছাড়া হাত ধোওয়া, পারস্পরিক দূরত্ব, মাস্ক পরা এগুলো ঠিকঠাকভাবে হচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে।