করোনা পরিস্থিতির দীর্ঘপর্ব কাটিয়ে চালু হল কলকাতা-ঢাকা উড়ান পরিষেবা। রবিবার থেকেই বিমান চলাচল শুরু হল। দু’-দেশের প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। তার সূত্র ধরেই এদিন আকাশপথে যোগাযোগ স্থাপন হল। এতদিন করোনার কারণে ঢাকা থেকে কলকাতায় কোনও বিমান আসছিল না। কলকাতা থেকেও কোনও বিমান ঢাকায় যাচ্ছিল না। শুধুমাত্র, ‘এয়ার বাবল’ চুক্তি অনুযায়ী ‘বন্দে ভারত’ মিশনের আওতায় কিছু বিমান চালু হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বিমান যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। তার মধ্যে দুবাইয়ের বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে কলকাতা-লন্ডন বিমান পরিষেবাও চালু হয়েছে। এদিন ঢাকা-কলকাতা বিমান পরিষেবা চালু হল। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমান চালাচ্ছে। তবে প্রথম দিনে ঢাকা থেকে কলকাতায় আসার যাত্রীসংখ্যা আশানুরূপ ছিল না। ৬৯ আসন সংখ্যার বিমানে মাত্র ১৭ জন ঢাকা থেকে কলকাতায় এসেছেন। তবে কলকাতা থেকে ঢাকায় গিয়েছেন ৫৭ জন। আবার সামনের সপ্তাহের ৭ কিংবা ৮ তারিখ নাগাদ বিমান রয়েছে। বিমানবন্দর কর্তাদের বক্তব্য, সবেমাত্র শুরু হল। তাই যাত্রীসংখ্যা কম। কিন্তু যখন পুরোপুরি পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে তখন যাত্রীসংখ্যা বাড়বে বলেই আশাবাদী তাঁরা। মূলত চিকিৎসার প্রয়োজনে ঢাকা থেকে বহু মানুষ কলকাতায় আসেন। এছাড়াও বহু পড়ুয়া ঢাকা থেকে কলকাতায় আসেন। তাঁদের অনেকটাই সুবিধা হল। তবে ঢাকা-কলকাতা বিমান পরিষেবা চালু হলেও করোনার জন্য বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ থাকছে। এখান থেকে ঢাকা যেতে কিংবা ঢাকা থেকে কলকাতা আসতে হলে যাত্রীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট নিতে হবে। এবং কলকাতায় নামার পর ফের আরও একবার করোনা পরীক্ষা করা হবে। কোনও ধরনের অসুস্থতার লক্ষণ দেখা গেলে তাঁদের রাজারহাটের রাজ্য সরকারের করোনা সংক্রান্ত হাসপাতালে রাখার ব্যবস্থা হবে। এদিন যে-সব যাত্রী এসেছেন তাঁদের কারও পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলেই বিমানবন্দর সূত্রের খবর। এদিন লন্ডন থেকেও বিমান কলকাতায় এসেছে। যাত্রী ছিলেন ৮২ জন। অন্যদিকে, ওই বিমানেই কলকাতা থেকে লন্ডন গিয়েছেন দু’জন শিশু-সহ ২২৭ জন।