প্রাক্তন দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যু মামলায় আজই সিআইডি’র হাজিরা এড়িয়েছেন শুভেন্দু। তারপরেই আইনজীবি মারফত কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষাকবচ চেয়ে বসলেন তিনি। আগেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে শুভেন্দু উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তাঁকে হয়ত মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে পারে। তাই ত্রিপল চুরি, সরকারি চাকরির নামে প্রতারণার মত মামলা সাজানো হচ্ছে, যাতে রাজ্য সরকার ইচ্ছা করেই তদন্তের নামে বিরোধী দলনেতা হওয়ায় গ্রেফতার করতে পারে। তাই এই মামলার সবকটি খারিজ করা হোক কিংবা সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হোক। সেই মামলায় আজ দুপুর ২ টা শুনানি রয়েছে, তার আগেই শুভেন্দুর আইনজীবি কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতির বেঞ্চে জানান, কেন মামলা বিচারধীন থাকা সত্ত্বেও শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করা হল? তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা হওয়ায় তাঁকে নানা ভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটিও তেমন একটি মামলা। এদিনের প্রাক্তন দেহরক্ষীর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তে ভবানী ভবনে হাজিরা এড়ানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, এখনই সমনে উত্তর দেওয়ার দরকার নেই। মৌখিক ভাবেই সেই বিষয়ে শুভেন্দুর আইনজীবিকে জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি নন্দীগ্রামের বিধায়কের আইনজীবি জানিয়েছেন এই সমস্ত মামলার জন্য শুভেন্দুকে আগাম রক্ষাকবচ দিতে হবে, আর সিবিআই-এর হাতে মামলা সপে দিতে হবে। আজ দুপুর ২ টার সময় সেই সমস্ত মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাক্তন দেহরক্ষীর শুভব্রত চক্রবর্তীর রহস্যমৃত্যুতে শুভেন্দু অধিকারীকে গত শনিবার ১৬০ সিআরপিসি-তে তলব করেছিল সিআইডি। ঘটনাটি ২০১৮ সালের। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল রাজ্যের তত্কালীন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর। সেই মামলার প্রায় তিন বছর পর গত জুলাই মাসে তদন্তের দাবি তুলে এফআইআর দায়ের করেন শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। এই মামলায় এদিন শুভেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ৪৩ পাতার প্রশ্নবাণ তৈরি করেছিল সিআইডি-র গোয়েন্দারা।