পিএম কিষান সম্মাননিধি যোজনায় ফের ব্রাত্য করা হল বাংলাকে। ২১-এর নির্বাচনের আগেই একাধিক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসে বলেছিলেন ২ তারিখ তাঁরা সরকার গড়লেই কৃষকদের ব্যাঙ্কে সোজাসুজি টাকা চলে যাবে। কিন্তু ২ মে পার হয়ে গেলেও কৃষকদের খাতে টাকা পৌঁছায়নি সময়ে। বারবার প্রধানমন্ত্রী কিংবা কৃষি মন্ত্রীকে চিঠি লেখার পর কিছু বাংলার কৃষককে অর্থ পাঠায় কেন্দ্র। কিন্তু এখনও ব্রাত্য রয়েছেন বাংলার বহু কৃষক। যার প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন সরব হয়েছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্ট্যোপাধ্যায়। এদিন ভার্চুয়ালি কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শোভনদেব চট্ট্যোপাধ্যায়। সেখানেই বাংলার ব্রাত্য কৃষকদের দাবি নিয়ে আওয়াজ তোলেন তিনি। বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের জন্য মোট ৪৬.২ লক্ষ কৃষকের নাম পাঠানো হয়েছিলো। তারমধ্যে ৩৮.৫১ লক্ষ কৃষকের নামে মান্যতা দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তারমধ্যেও মাত্র ২৩.৭৭ লক্ষ কৃষককে টাকা পাঠানো হয়েছে। ফলে প্রায় পনেরো লক্ষ কৃষককে এক টাকাও এখনও দেয়নি কেন্দ্র। ৭.০৩ লক্ষ কৃষককে প্রথম দফায়, ২৩.৭৭ লক্ষ কৃষককে দ্বিতীয় দফায় টাকা পাঠানো হয়। দুই দফায় মোট ৪ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ জানিয়েছেন, কিন্তু রাজ্যের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ৬২ লক্ষ কৃষককে প্রথম দফার ৫ হাজার টাকা করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষকবন্ধু প্রকল্পের ১০০০০ টাকা করে বছরে দেওয়া হয়। পিএম কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের অনেক আগেই কৃষকবন্ধু প্রকল্প শুরু করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য রাজ্যের কৃষকদের আয় তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে। তাই দ্রুত বকেয়া টাকা ও ব্রাত্য থাকা কৃষকদের অর্থ দ্রুত পাঠাতে বলেন কৃষি মন্ত্রী। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতেই ২১-এর নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি মতোই নতুন ভাবে ‘কৃষকবন্ধু’কে নিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।