বিধানসভা নির্বাচনের বহু আগে থেকেই বার বার ধরা পড়ছিল বাংলা দখলের হুংকার দেওয়া গেরুয়া শিবিরের নেতারা বাংলা সম্পর্কে কতটা অজ্ঞ। এবার দেখা যাচ্ছে শুধু বাংলা নয় নিজেদের রাজ্যের সভ্যতা সংস্কৃতি নিয়েও তাঁরা চূড়ান্ত ভাবে অজ্ঞ। এহেন ঘটনার প্রমাণ দিলেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিন তিনি রাজস্থানি কবি কানাইয়ালাল শেঠিয়ার জন্মবার্ষিকীকে বানিয়ে দিলেন তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী। তাঁর এহেন কীর্তিতে কার্যত মুখ পুড়েছে গেরুয়া শিবিরের। রীতিমত খোঁচা দিয়েছেন তিনি রাজ্যপালকে যা নিঃশব্দেই হজম করতে হয়েছে বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। রাজ্যপাল জন্ম ভিটেও রাজস্থান। স্নাতক ডিগ্রি পান রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। জগদীপ ধনকড় ১৯৮৯-৯১ নবম লোকসভায় রাজস্থানের ঝুনঝুনু (লোকসভা কেন্দ্র) থেকে সাংসদ হিসেবে জনতা দল (সংযুক্ত) কে প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ১৯৯৩-৯৮ সালে রাজস্থানের দশম বিধানসভায় কিষানগড়, রাজস্থান থেকে বিধায়ক এবং রাজস্থান হাইকোর্ট বার এসোসিয়েশন, জয়পুরের সভাপতি ছিলেন। অথচ রাজস্থানে জন্মেও বিখ্যাত রাজস্থানি কবি কানাইয়ালাল শেঠিয়ার জন্ম-মৃত্যু জানেন না। ১১ সেপ্টেম্বর বিখ্যাত রাজস্থানি কবি কানাইয়ালাল শেঠিয়ার ১০২ তম জন্মবার্ষিকী। তিনি রাজস্থানির পাশাপাশি হিন্দি ভাষাতেও বহু কবিতা লিখেছেন। তাঁর লেখা কবিতা মন ছুঁয়েছে সিংহভাগ পাঠকের। রাজস্থানি ভাষাকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিকে সমর্থনও করেছিলেন বিখ্যাত কবি। এহেন বিখ্যাত মানুষের জন্মদিনকেই কিনা ধনখড় বানিয়ে দিলেন তাঁর মৃত্যুদিন। আর তাতেই পরিষ্কার এই মানুষটি সম্পর্কে সম্ভবত কিছুই জানেন না বাংলার রাজ্যপাল। ধনখড়ের ভুল টুইটের জেরেই তাঁকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, আরও অনেকেই রাজ্যপালের এই ভুল টুইটের সমালোচনা করায় টুইটটি ডিলিট করে দেন রাজ্যপাল। ধনকড়কে খোঁচা দিয়ে পার্থবাবু এদিন লেখেন, ‘মহামান্য রাজ্যপাল, অজ্ঞতা লুকোবেন কোথায়? রাজস্থানে জন্মেও আপনি কানাইয়ালাল শেঠিয়ার জন্মবার্ষিকীকে মৃত্যুবার্ষিকী বলে উল্লেখ করে টুইট করলেন? কৃতীদের অপমান করাই কি আপনার ঐতিহ্য?’