ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্ত করতে রাজ্যে এসেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল। তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে রাজ্য সরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতে কোন কোন প্রতিনিধির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে মনে করছে রাজ্য, তার একটি তালিকা চেয়ে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতে এই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন কোনও নির্দেশের জন্য আবেদন করেছিলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল। তবে বিচারপতি বিনীত সরণ ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। আদালতের তরফে জানানো হয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কোন কোন সদস্যদের নিয়ে কী কী সংশয় রয়েছে, তা বিস্তারিত আকারে জানাতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব, এই তথ্য ইমেলের মারফত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল ভোট-পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি ঘুরে দেখে যাওয়ার পরই ওই প্রতিনিধি সদস্যরা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট বলে সরব হয় তৃণমূল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা একটা সময়ে বিজেপির বিভিন্ন পদে ছিলেন। এই দাবির পিছনে সুনির্দিষ্ট তথ্যও তুলে ধরা হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সেই রিপোর্ট হাই কোর্টে জমা পড়ার পরই তার ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসায় কলকাতা হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে রাজ্য সরকার।