দেশ

এসসিও সম্মেলনে মৌলবাদ-কট্টরপন্থার বিরুদ্ধে এক হওয়ার ডাক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির

জন্মদিনের দিন সাংহাই কোঅপরেশন অর্গানাইজেশনের ২১ তম বৈঠকে প্লেনারি সেশনে ৬ মিনিটের ভাষণে দুই দেশকে নাম না করে কার্যত দিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাইকে এক হওয়ার বার্তা দেন ৷ সম্প্রতি আফগানিস্তানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার প্রেক্ষিতেই শুক্রবার সাংহাই কর্পোরেশন অরগানাইজেশন বা এসসিও-র সম্মেলনে এই কথা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন৷ সেখানে তিনি জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং বিশ্বাস অটুট রাখতে এটা খুব জরুরি৷ এই সংগঠন ২০০১ সালে তৈরি হয় ৷ তখন ভারত এর স্থায়ী সদস্য ছিল না৷ ২০১৭ সালে ভারত ও পাকিস্তানকে এই সংগঠনের স্থায়ী সদস্য করা হয় ৷ সেই সংগঠনের সম্মেলন শুক্রবার শুরু হল ৷ করোনা পরিস্থিতির জন্য এবার ভার্চুয়াল সম্মেলন হল ৷ সেখানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি স্থলপথে মধ্য এশিয়ার সঙ্গে ভারতের সরাসরি যোগাযোগের উপর জোর দেন৷ পাশাপাশি এই অঞ্চলে যোগাযোগ সংক্রান্ত কোনও প্রকল্প তৈরি করার সময় স্বচ্ছতা রাখার উপরও জোর দেন তিনি ৷ একই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন এই ধরনের প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে কোনও দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট না হয় ৷ এসসিওকে ন্যাটোর এশীয় সংস্করণ হিসেবে ধরা হয় ৷ এবার ওই সংগঠনের 20তম সম্মেলন হচ্ছে ৷ শুক্রবার সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘২০তম বার্ষিকীতে এসসিও-র ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার এটা আদর্শ সময় ৷ আমি বিশ্বাস করি এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল শান্তি, নিরাপত্তা ও বিশ্বাসের অভাব ৷ আর এর মূল কারণ হল বাড়তে থাকা মৌলবাদ ৷’’ এই সূত্রে তিনি আফগানিস্তান নিয়েও মুখ খুলেছেন ৷ জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি এই চ্যালেঞ্জকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে ৷ আর এসসিওর এই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া উচিত ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে দেখতে পাই যে মধ্য এশিয়া আধুনিক ও প্রগতিশীল সংস্কৃতি ও নীতিবোধের দুর্গ ছিল ৷ সুফিবাদ এখান থেকেই তৈরি হয়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ছড়িয়ে পড়েছে ৷ এখনও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে তার প্রভাব দেখতে পাই ৷ সেই মধ্য এশিয়ার ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের জন্যই এসসিও-কে মৌলবাদ ও কট্টরপন্থার বিরুদ্ধে ঐকমত্য তৈরি করতে হবে ৷’’