সারদা কাণ্ডে সুদীপ্ত সেনের চিঠির ভিত্তিতে তদন্তের যে দাবি জানিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ, তাতে ইতিবাচক সাড়া মিলল। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ওই চিঠির ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। সুদীপ্ত সেন জেলে বসে সারদা কাণ্ডে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায় সহ বেশ কয়েকজন নেতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি লিখেছিলেন। সুদীপ্ত সেনের সেই চিঠির ভিত্তিতে তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এই বিষয় কুণাল ঘোষ বলেন, “সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন আদালতকে একটি লিখিত চিঠি দিয়েছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৩ সালে তার ওপর কী চাপ ছিল, তাঁকে দিয়ে আগের বয়ানগুলি কীভাবে দেওয়ানো হয়েছিল, এবং প্রকৃতভাবে এই সারদা কাণ্ডে কে কে জড়িত সেই সমস্ত কিছু বলা হয়েছে। অথচ সিবিআই এক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তার মধ্যে অন্যতম নাম ছিল শুভেন্দু অধিকারীর।”
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর সুদীপ্ত সেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, সারদা চিটফান্ডের ব্য়বসা চালানোর জন্য কাকে কত টাকা দিতে হয়েছে। সেখানে তিনি লিখেছেন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বিধানসভায় বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে । বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে ২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। সুদীপ্ত সেনের অভিযোগের তালিকায় রয়েছেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরিও। অধীর চৌধুরি নাকি ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুদীপ্ত। বেএকদা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কে কত টাকা দিয়েছেন তা মনে করতে না পারলেও, মোটা অঙ্কের টাকাই তাঁকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সুদীপ্ত সেন। এই চিঠিতে স্বাক্ষরও রয়েছে সুদীপ্ত সেনের। এই চিঠি কারা দফতরের মাধ্যমে পৌঁছেছে এডিজির কাছে। তারপর সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরে তা পাঠানো হয়েছে।