কলকাতা

আদি কর্মীদের গুরুত্ব দিয়ে বাংলা থেকে ‘তালিবান’ সরকারকে উৎখাত করতে চান সুকান্ত মজুমদার

বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে নতুন দায়িত্ব নিয়েই লড়াইয়ের বার্তা দিলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, দলে আদি ও প্রবীণ কর্মীদের গুরুত্ব তুলে ধরে বোঝালেন, কর্মীরাই দলের সম্পদ ৷ রাজ্যে তালিবান সরকার চলছে বলে কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ দল ছেড়ে চলে যাওয়া নেতা-কর্মীদের নিয়ে না-ভেবে দলের নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী প্রকৃত কর্মীদের নিয়েই এগিয়ে চলার কথা বললেন তিনি ৷ আগামী লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিই ফের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন বলেও দাবি করেন সুকান্ত মজুমদার ৷ তাঁর প্রতিশ্রুতি, বাংলা থেকে আগের চেয়েও বেশি সাংসদ মোদিকে উপহার দেবে বিজেপি ৷ সুকান্ত মজুমদার এমন একটা সময়ে রাজ্য বিজেপির দায়িত্ব কাঁধে নিলেন, যখন বিজেপি এক প্রকার ভাঙা হাট ৷ রাজ্যে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল সরকার গঠন করার পর থেকে একে একে গেরুয়া শিবির ছেড়ে তাঁর দলে ভিড়তে দেখা যাচ্ছে নেতা-বিধায়ক-সাংসদদের ৷ এই অবস্থায় সুকান্ত মজুমদার দলকে শক্ত হাতে বাঁধার উপরই বেশি জোর দিচ্ছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের ৷ আজ বিজেপির অফিসে তাঁর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, “কর্মীরাই আমাদের সম্পদ ৷ যখন আমরা ভাবতেও পারতাম না একজন বিধায়কও বাংলায় বিজেপির হবে, তখন থেকে যাঁরা দল করছেন তাঁরাই দলের সম্পদ ৷ যাঁরা চলে গিয়েছেন, তাঁরাও ফিরে আসুন ৷ আমরা সবাইকে নিয়েই লড়তে চাই ৷ কিন্তু যাঁরা সামান্য লোভে রাজ্যপাট পেতে ও ভয়ে চলে যাচ্ছেন, তাঁদের চলে যাওয়াই ভাল ৷ আমাদের কর্মীরা দল অন্তঃপ্রাণ ৷ তাঁদের সঙ্গে নিয়েই এই পশ্চিমবঙ্গ থেকে তালিবান সরকারকে উৎখাত করব ৷” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জল্পনাকে তীব্র কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার জানান, এটা কোনও মতেই সম্ভব না ৷ তাঁর কথায়, “মমতা নাকি প্রধানমন্ত্রী হবেন ৷ তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই যে, ৪২টি আসনেই তৃণমূল জিতছে, তাও তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না ৷ ২৪-এ মোদিই প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ৷ এটাই বিধির লিখন ৷ বর্তমানে বাংলায় বিজেপির যে আসন রয়েছে, আমরা তার থেকেও বেশি আসন আগামী লোকসভায় মোদিকে উপহার দেব ৷ এটাই আমাদের অঙ্গীকার ৷”তিনি বলেন, “এটা বিজেপিতেই সম্ভব ৷ বিজেপিতে বারবার নতুন নেতৃত্ব আসে ৷ একজন কিছুদিন কাজ করার পর আর একজনকে জায়গা করে দেওয়া হয় ৷ পূর্বসূরীরা যে জমি তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন, তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমার লক্ষ্য ৷ ক্ষণস্থায়ী দায়িত্বের মধ্যেই নিজেদের ছাপ রেখে যেতে হবে ৷”