যাঁরা কোভিশিল্ড নিয়েছিলেন, তাঁদের যাতায়াত, কোয়ারেন্টাইন নিয়ে কড়া নীতি চাপিয়েছিল ব্রিটেন। টিকার শংসাপত্র নিয়েও নতুন নীতি এনেছিল। মোদ্দা কথা, কোভিশিল্ড টিকাকে স্বীকৃতিই দিতে চাইছিল না তারা, যা আবিষ্কার হয়েছে তাদের দেশেই। তাতেই চটেছে ভারত। জানিয়েছে, পাল্টা পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ভারত। সেই চাপের কাথে নতিস্বীকার করল ব্রিটেন। জানাল, কোভিশিল্ডকে মান্যতা দিচ্ছে তারা। তবে এই টিকার দু’টি ডোজ নিয়েও কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ব্রিটেন জানিয়েছে, কোভিশিল্ডও কোভিডের বিরুদ্ধে কার্যকরী টিকা। তবে পাশাপাশি বলেছে, সমস্যা টিকা নিয়ে নয়, ভারতে দেওয়া শংসাপত্র নিয়ে। ভারত যদিও এই মান্যতাকে কূটনৈতিক সাফল্য বলেই ধরছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালিয়েছে মোদি সরকার। ব্রিটেনের সাম্প্রতিকতম পর্যটন বিষয়ক নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগামী অক্টোবর মাসের ৪ তারিখ থেকে ব্রিটেন, ইউরোপ, আমেরিকা বা ব্রিটেন আয়োজিত বিদেশি যে কোনও ক্যাম্প থেকে নেওয়া টিকাকে ফুল ডোজ হিসেবে গ্রাহ্য করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, অ্যান্টিগা এবং বারবুডা, বারবাডোস, বাহরিন, ব্রুনেই, কানাডা, ডমিনিকা, ইজরায়েল, জাপান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, কাতার, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, সাউথ কোরিয়া এবং তাইওয়ান থেকে নেওয়া অক্সফোর্ড বা অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার বায়োএনটেক, মডার্না, জনসন ভ্যাকসিনকেও ফুল ডোজ হিসেবে ধরা হবে। এছাড়াও অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিশিল্ড, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাক্সজেভরিয়া এবং মডার্না তাকিডাকেও এদিন ছাড় দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
মঙ্গলবারই ভারত জানিয়ে দেয়, এদেশে নির্মিত কোভিড টিকাকে মান্যতা না দিলে কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার। ব্রিটেনের বিরুদ্ধে এই টিকা নিয়ে ‘বৈষম্যমূলক আচরণ’–এর অভিযোগ তোলেন বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শৃঙ্গলা। তার পরেই নড়েচড়ে বসে ব্রিটেন। জানিয়ে দেয় স্বীকৃতির কথা।