ভবানীপুরেই কেন উপনির্বাচন ঘোষণা করল কলকাতা হাই কোর্ট?বৃহস্পতিবার ভারতপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলাটি (PIL) শুনানির জন্য ওঠে ৷ বেঞ্চের তরফ থেকে সাফ জানানো হয়, শুক্রবারের মধ্যেই এই বিষয়ে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে ৷ কমিশনের যুক্তি ছিল, ভবানীপুর কেন্দ্রে দ্রুত উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে ৷ কীসের ভিত্তিতে এই যুক্তি খাড়া করেছে কমিশন, হলফনামায় তাও জানাতে হবে তাদের ৷এদিনের শুনানিতে মামলাকারীর তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ৷ তিনি বলেন, ‘‘আদালতে কোনও ইলেকশন পিটিশন বিচারাধীন থাকলে নির্বাচন করা যায় না ৷ পাশাপাশি, ভবানীপুর কেন্দ্রে এখনই নির্বাচনের কোনও প্রয়োজন নেই ৷ কীসের কনস্টিটিউশনাল ক্রাইসিস (সাংবিধানিক সঙ্কট) ওখানে তৈরি হয়েছে ?’’ অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়, ভারতীয় সংবিধানের ৩২৯ ধারায় বলা আছে, উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ধরনের মামলা একেবারেই আদালতের গ্রহণ করা উচিত নয় ৷ এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও নির্দেশ আছে ৷ এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বিন্দাল বলেন, ‘‘যদি দেখা যায় কোনও দুর্নীতি চলছে, দুর্নীতি থেকে বাঁচতে কোনও জনপ্রতিনিধি যদি নির্বাচন করাতে বাধ্য করান, সেক্ষেত্রে কি আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না ?’’ নির্বাচন কমিশনের তরফ তখন বলা হয়, ‘‘একবার কোথাও নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে তার উপর কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া যায় না ৷ এটি নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক অধিকার ৷’’